নতুন একটা জিনিস দেখছি, শিশা: কাদের
তামাকের ব্যবহার বন্ধে নতুন আইন না করে চলমান আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার আগারগাঁওয়ে এলজিইডি ভবনে তামাকবিরোধী নারী জোটের ‘ধোঁয়াহীন তামাকজাত দ্রব্য এবং তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণে নারীর ভূমিকা’ শীর্ষক ‘তাবিনাজ সম্মেলনে’ তিনি এ আহ্বান জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “অনেকে নতুন আইন করার কথা বলেন। দায়সারা আইন করে লাভ নেই। যত আইন আছে তার কোনো প্রয়োগ নেই। যে আইন রয়েছে সেটিই কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে।”
তরুণদের মধ্যে ধূমপানের প্রবণতা বাড়ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আমি ফেইসবুকে দেখেছি, ইদানিং ১৫ থেকে ২০ বছর বয়সী ছেলে-মেয়েদের ৮০-৯০ শতাংশই সিগারেট খায়। নতুন একটা জিনিস দেখছি, ‘শিশা’। হুক্কার মতো দেখতে, অনেক রেস্টুরেন্ট এগুলো লুকিয়ে বিক্রি করে।”
শিশা গ্রহণের প্রবণতা ‘মেয়েদের মধ্যে তুলনামূলক বেশি’ বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী কাদের।
“দুইভাবে আমাদের কাজ করতে হবে। একটি ইনফোর্সেমেন্ট, আরেকটি অ্যাওয়ারনেস। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পরিবহনে ধূমপান বন্ধ করতে হবে।”
ধূমপান ও পান জর্দা বিষয়ে নিজের আসক্তির বিষয়ও এসময় তুলে ধরেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, “আট বছর আগেও যদি আপনারা আমাকে এ ধরনের অনুষ্ঠানে ডাকতেন, আমি লজ্জা পেতাম। কিন্তু এখন এসেছি সাহস নিয়ে। আমারও প্রদীপের নিচে অন্ধকার আছে। ২০০৮ সাল থেকে আমি এসব কিছু স্পর্শ করিনি।”
তামাকবিরোধী সংগঠন প্রজ্ঞার তথ্যমতে, দেশে চার কোটি মানুষ তামাকজাত পণ্য ব্যবহার করে, যা প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ৪৩ দশমিক ৩ শতাংশ। এর মধ্যে এক কোটি ৩৪ লাখ নারী ধোঁয়াহীন তামাকজাত পণ্য ব্যবহার করেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ধারণা, ২০৩০ সাল নাগাদ তামাকজাত পণ্য ব্যবহারে মৃত্যুর সংখ্যা বছরে ৮০ লাখ ছাড়িয়ে যাবে।
দিনব্যাপী এ সম্মেলনের মুখ্য আলোচক ছিলেন ‘ক্যাম্পেইন ফর টোবাকো ফ্রি কিডস’ এর দক্ষিণ এশিয়ার প্রোগ্রাম পরিচালক বন্দনা শাহ।
অন্যাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সভাপতি আব্দুল মালেক, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রোকসানা কাদের, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহিন আহমেদ চৌধুরী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, তাবিনাজের আহ্বায়ক ফরিদা আখতার প্রমুখ।