`নগদ সহায়তা হ্রাস করা হলে আলুর রপ্তানীতে ধ্বস নামার আশংকা’
এস এম বাবুল : আলু রপ্তানীকারকদের নগদ সহায়তা সুবিধা হ্রাস করা হলে বিশ্ববাজারে এ খাতকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না বলে মন্তব্য করেছেন, আলু রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পটেটো এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিপিইএ)।
গত শনিবার বিকেল ৪ ঘটিকায় প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ একথা বলেন।
আলোচক বৃন্দ বলেন, বিশ্ববাজারে রপ্তানী বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আমাদের সাথে যে সকল দেশ রয়েছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভারত ৩০ শতাংশ, পাকিস্তান ৩৫ শতাংশ এবং চীন ২০ শতাংশ হারে রপ্তানীকারকদের নগদ সহায়তা দিচ্ছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ রপ্তানীকারকদের পূর্ববর্তী ২০ শতাংশ নগদ সহায়তা সুবিধা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা বেশ কষ্টকর, সেখানে ১০ শতাংশ সুবিধা নেমে আসলে আলু রপ্তানীতে ধ্বস নামতে পারে বলে ধারনা বিশ্লেষকদের। বক্তারা আরো বলেন, এ নীতি গ্রহণ করা হলে আলু উৎপাদনের সহিত জড়িত সকল প্রান্তিক কৃষক-শ্রমিক ও রপ্তানীর সাথে জড়িত সকলেই ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।
বক্তারা বলেন, কৃষক তার ন্যায্য মুল্য না পেলে উৎপাদন উৎসাহ হারাবে এবং রপ্তানীকারকগণ বিশ্ববাজারে রপ্তানী প্রতিযোগিতা টিকে থাকতে পারবে না। ফলে এর খাত থেকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে না।
সংগঠনের মহাসচিব মোঃ জাকির হোসেন বলেন, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে আলু উৎপাদন ৯৬.৪৮ লক্ষ মেট্রিক টন। যার ৪০% হিমাগারে মওজুদ আছে। দেশে চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ১৫ লক্ষ মেট্রিক টন আলু উদ্ধুত থাকে। উদ্ধুত আলু রপ্তানী করতে না পারলে হিমাগারের খরচ বেড়ে যাবে এবং কৃষক পরবর্তীতে ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হবেন।
আলোচনায় তিনি আরো বলেন, চলতি অর্থ বছরে রাশিয়াতে আলু রপ্তানী করার উদ্যোগ নিয়েছি এবং ইন্দোনেশিয়া আলু রপ্তানী প্রক্রিয়া ও প্রায় শেষ প্রান্তে। এই মূহুর্তে রপ্তানীকারকদের নগদ সহায়তা হ্রাস করা হলে আলু রপ্তানী করা সম্ভব হবে না এবং কৃষি মন্ত্রণালয় রাশিয়ার সাথে আমাদের দূরত্বে কথা বিবেচনা করে নগদ সহায়তা ২৫% করার সুপারিশ করছেন। রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরো এর পরিসংখ্যান মতে বাংলাদেশ বর্তমানে আলু রপ্তানীতে নিম্নগতিতে। সংগঠনটি নগদ সহায়তা হ্রাস না করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছেন।
ঢাকা জার্নাল, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৬।