ধানমন্ডির বাণিজ্যিক স্থাপনা অপসারণের রায় বহাল
ঢাকা জার্নাল:রাজধানীর ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা থেকে অননুমোদিত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো সরিয়ে নিতে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। এই রায়ের ফলে আবাসিক এলাকা থেকে সকল ধরনের বাণিজ্যিক স্থাপনা অপসারণে আর কোনো আইনগত বাধা থাকল না।
সোমবার এ বিষয়ে ম্যাপললিফ স্কুলের করা লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়ে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে মূল রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন মনজিল মোরসেদ। ম্যাপললিফ ইন্টারন্যাশনালের পক্ষে ছিলেন ড. আবুল বাশার।
২০১২ সালের ১১ জুন ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা থেকে অননুমোদিত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো সরিয়ে নিতে রায় দেন হাইকোর্ট। ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার বৈশিষ্ট্য রক্ষার নির্দেশনা চেয়ে সেখানকার দুই বাসিন্দা এম এ মাসুদ ও এম এ মতিন হাইকোর্টে ২০১১ সালের রিট আবেদন করেন। এ রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ২ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুল জারি করেন। একই সঙ্গে ধানমন্ডি আবাসিক এলাকায় নতুন স্কুল, কলেজ ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন ও অনুমোদনের ওপর অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১২ সালের ১১ জুন হাইকোর্ট এ রায় দেন।
হাইকোর্টর রায়ের পর মনজিল মোরসেদ বলেছিলেন, ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা থেকে সব বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নিতে রাজউকের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ধানমন্ডি এলাকায় ম্যাপললিফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ১১টি শাখা রয়েছে। তিন বছরের মধ্যে স্কুলের শাখাগুলো একত্র করে অন্যত্র সুবিধাজনক জায়গায় সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। শাখাগুলো স্থানান্তর না করা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট এলাকায় স্কুল কর্তৃপক্ষকে নিজস্ব লোকবলের মাধ্যমে যানজট নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। ধানমন্ডি আবাসিক এলাকায় ভবিষ্যতে সিটি করপোরেশন বা রাজউককে কোনো ধরনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন না দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার রায়ের পর মনজিল মোরসেদ বলেন, ২০১৫ সালে তিন বছর মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এখন যেহেতু আপিল বিভাগে আবেদন খারিজ হয়ে গেছে তাই যতদ্রুত সম্ভব আবাসিক এলাকার বাণিজ্যিক স্থাপনা সরিয়ে নিতে হবে।
ঢাকা জার্নাল, ০১ আগষ্ট, ২০১৬।