Leadসব সংবাদ

ধর্ম নিয়ে কেন রেষারেষি থাকবে: প্রধানমন্ত্রী

আমরা যদি বিশ্বাস করি শেষ বিচার করবেন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন, কে বেহেশত যাবে, কে দোজখে যাবে তা তো আল্লাহ নির্ধারণ করবেন। সেই বিচারটা এখন বান্দা কেন করবে। কে মুসলমান, কে মুসলমান না, কে ধর্ম পালন করে, কে ধর্ম পালন করে না সেও তো আল্লাহ বিচার করবেন। যে যা করবে তার ফল তাকেই ভোগ করতে হবে। কারও ফল তো অন্য কেউ ভোগ করে দেবে না। এ অবস্থায় কেন এই রেষারেষিটা থাকবে।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারীর সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধর্মের মধ্যে ভাগ করা, কে ভালো, কে ভালো না আমি জানি না। আমাদের নবী করিমও (সা.) একথা বলেননি। অথবা ইসলাম ধর্মও একথা বলেনি। আমি মনে করি আমাদের ইসলাম ধর্মে যারা বিশ্বাসী তারা যদি ইসলাম ধর্মকেই বিশ্বাস করে এবং নবী করিম (সা.) এর বাণী সেটাও যদি ধারণ করে, সেটাও যদি মেনে চলে তাহলে তো এই বিচারের পথে কেউ যেতে পারে না।

‘আমি ভালো মুসলমান না উনি ভালো মুসলমান এটা বলার দায়িত্ব তো আল্লাহ কাউকে দেননি। এই বিচার করার অধিকারও কাউকে দেননি। আল্লাহ তো বারবার বলেছেন, কুরআনেও বলা আছে শেষ বিচার আল্লাহ রাব্বুল আলামিন করবেন। সেই ধৈর্যটা থাকবে না কেন। এখানে আমি বলবো যারা সত্যিকার অর্থে ইসলাম বিশ্বাস করে তারা প্রত্যেকেই যার যার ধর্ম সেই সেই পালন করবে।

তিনি বলেন, কারও ধর্মে আঘাত দিয়ে কথা না বলা, মুসলমান হয়ে মুসলমানকে আঘাত এটা যেন না করে। একই সঙ্গে অন্য ধর্মালম্বীদেরও (এটাও ইসলামের শিক্ষা) আঘাত করা যাবে না। আঘাত করা উচিত না। সুরা কাফে স্পষ্ট বলা আছে। যার যার ধর্ম তার তার কাছে। যার যার ধর্ম সেই সেই পালন করবে। সেই বিশ্বাস নিয়ে চললে এই দ্বন্দ্বটা থাকে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম, পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম হলো ইসলাম ধর্ম। সেই ধর্মে আমাদের শান্তির কথা বলা আছে। জীবনযাত্রা, জীবনমান সবকিছু চমৎকারভাবে বলা আছে। সেখানে জঙ্গিবাদ সমস্যা শুধু বাংলাদেশে না এটা সারা বিশ্বব্যাপী। ধর্মের নামে জঙ্গিবাদ সৃষ্টি হয়ে আমাদের এই ধর্মটাকে মুষ্টিমেয় লোকের জন্য বিশ্বের কাছে ইসলাম ধর্ম প্রশ্নবিদ্ধ হতে থাকে। আমরা সব সময় সেটাতে আপত্তি জানিয়েছি। ধর্মের নামে যেন জঙ্গিবাদ সৃষ্টি না হয়। তার জন্য আমরা আলেম ওলামাদের এক করে (আমাদের ছাত্রছাত্রী যুব সমাজ যেন সচেতন হয় এবং ইসলাম ধর্মের সত্যিকার বাণীটা যেন বুঝতে পারে তার জন্য) সম্পৃক্ত করেছি। তার কিছু ভালো ফলও আমরা পাচ্ছি।