শীর্ষ সংবাদ

দ্রুত বিচার আইনের মেয়াদ পাঁচ বছর বাড়ছে

আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইনের মেয়াদ পাঁচ বছর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে মেয়াদ বৃদ্ধি করে ‘আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) আইনের খসড়াটি নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশারফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের এ তথ্য দেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভfর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান এপ্রিলে আইনটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে সে কারণে মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাঁচ বছর বাড়ানোর ফলে আইনটি ২০১৯ সালের ৭ এপ্রিল পর্যন্ত আইনটি কার্যকর থাকবে।

আইনটি প্রথমে দুই বছরের জন্য করা হয়। তারপর বিভিন্ন সময় এর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। ২০০২ সালে আইনটি করা হয়। এরপর প্রত্যেকবার দুই বছর করে আইনটির মেয়াদ বাড়ানো হয়। প্রথম কার্যকারিতা বাড়ানো হয় ২০০৪ সালে, এরপর ২০০৬ সালে। আইনটি কার্যকর ও ফলপ্রসূ হওয়ায় সর্বশেষ ২০১২ সালে এর মেয়াদ বাড়ানো হয়।

মোশারফ হোসাইন ভূইঞা জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মনে করে আইনটি কার্যকর আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী বিভিন্ন অপরাধ দমনের ক্ষেত্রে। 

সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, যানবাহন ভাংচুর-ক্ষতিসাধন, স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিনষ্ট করা, দূস্যতা, ত্রাস এবং অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা, টেন্ডারবাজি, ভয়ভীতি প্রদর্শনের মতো অপরাধ বিচারের জন্য আইনটি করা হয়েছে। মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেওয়া আইনের খসড়াটি পাসের জন্য সংসদে তোলা হবে বলে জানান সচিব।    

বিএনপিকে দমিয়ে রাখতে আইনটির মেয়াদ এবার পাঁচ বছর বাড়ানো হয়েছে কিনা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কালের পরীক্ষায় আইনটি উর্তীন্ন হয়েছে। কোনো বিশেষ দলকে দমাতে আইনটির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে না। সব সরকারের সময়ই এই আইনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

 

মন্ত্রিসভায় বিমস্টেক সেন্টার ফর ওয়েদার এন্ড ক্লাইমেট (বিসিডব্লিউসি) প্রতিষ্ঠার জন্য মেমোরেন্ডাম অব অ্যাসোসিয়েশন(এমওএ) স্বাক্ষরের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এছাড়া মেমোরেন্ডাম অব কমিশন এন্ড আন্ডারস্ট্যান্ডিং অন দ্যা এস্টাবলিসমেন্ট অব দ্যা বিমস্টেক কালচারাল ইন্ডাস্ট্রিজ কমিশন এন্ড বিমস্টেক কালচারাল ইন্ডাস্ট্রিজ অবজারভেটরি স্বাক্ষরের অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।

 

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.