স্পটলাইট

দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা কোনো স্পেস পাবে না: মাহফুজ

ঢাকা জার্নাল ডেস্ক:

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উৎখাতের জন্য যে সকল পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে তার সবগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে সরকার। তবে যতই চেষ্টা করা হোক না কেন দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা কোনো স্পেস পাবে না।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

মাহফুজ আলম বলেন, আমরা একটি মেসেজ দিতে চাই, গ্রামে বা শহরে যারা দেশি-বিদেশি চক্রান্তের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতিকে বিশৃঙ্খল করে তুলতে চাচ্ছেন এবং গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী সরকারকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন, তাদের জেনে রাখা দরকার সরকার খুব নিবিড়ভাবে এই দেশের সব জনগোষ্ঠীর সঙ্গে আছে। বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলোর সঙ্গে নিয়মিত সংলাপের আয়োজন হচ্ছে। নিয়মিত বোঝাপড়া হচ্ছে। সরকার তাদের ন্যায্য দাবিগুলো মেনে নেওয়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট ওপেন আছে। দেশি-বিদেশি কোনো ষড়যন্ত্রকারী কোনো স্পেস পাবে না, এটা আমাদের প্রতিজ্ঞা। এই প্রতিজ্ঞায় আমরা সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।

সাম্প্রতিক সময়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলা পরিচালনা ও আর্থিক সহায়তায় সরকার এগিয়ে আসবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, গত দুই মাসে হিন্দু সম্প্রদায় যেসব দাবি নিয়ে আমাদের কাছে এসেছেন, ওই দাবিগুলো পর্যবেক্ষণ করে আমরা চেষ্টা করেছি কি ধরণের পদক্ষেপ নিলে ওনাদের দাবিগুলোর সঙ্গে কাজ করে যেতে পারি।

তিনি বলেন, ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পরে আমরা দেখেছি বিভিন্ন জায়গায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হিন্দুসহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হয়েছে। ওই সময় সরকার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র ও জনতা চেষ্টা করেছে এসব হামলা, সংঘাত রুখে দেওয়ার জন্য। এরপরও অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিল থেকে আমরা তাদের সাহায্য-সহযোগিতার চেষ্টা করব৷ আমরা হয়তো আজ কালের ভেতর সেটি করব। যাতে ওনারা নিরাপদে ও আনন্দের সঙ্গে পূজা উদযাপন করতে পারেন।

ড. ইউনূসের বিশেষ সহকারী আরও বলেন, শুধু হিন্দু সম্প্রদায় নয়, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ও যেভাবে নিপীড়িত বলে অনুভব করছে, নিরাপত্তাহীনতা অনুভব করছেন, আমরা ওখানকার পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা দেখবো, যাতে তারা নির্বিঘ্নে ও আনন্দের সঙ্গে তাদের প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন করতে পারেন এবং যে উৎসবটি ওনারা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন, আমরা চাই বাংলাদেশে কোনো উৎসব যেনো বন্ধ না হয়। সব জনগোষ্ঠীর নির্বিঘ্নে আনন্দে নিজস্ব উৎসব পালনের অধিকার আছে। সেই অধিকার নিশ্চিতে সরকার বদ্ধপরিকর। কঠিন চীবর দান উৎসবের ব্যাপারে আমরা খুব শীঘ্রই এমনভাবে ব্যবস্থা নেবো যাতে ওনারাও তাদের উৎসব পালন করতে পারেন।

এ সময় ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মাইনুল হাসান, ডিএমপির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।