দেশটাকে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান বানাতে চায়
দিনাজপুর: ‘যারা রমনার বটমূলে ও উদীচীর সম্মেলনে বোমা হামলা করেছিল তারাই কান্তনগরের ৪৫০ বছরের ঐতিহাসিক ঐতিহ্যকে নষ্ট করার জন্য রাসমেলার যাত্রা প্যান্ডেলে হামলা করেছে। তারা দেশটাকে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান বানাতে চায়।’
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দিনাজপুরের কান্তজিউ মন্দির প্রাঙ্গণে রাসমেলায় বোমা হামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর নিমচন্দ্র ভৌমিক ও দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল এ কথাগুলো বলেন।
প্রফেসর নিমচন্দ্র ভৌমিক আরো বলেন, ‘এ ঘটনার মাত্র কয়েকদিন আগেও দিনাজপুরে একজন খ্রিস্টান ও একজন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের উপর হামলা করা হয়েছে। দেশের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করার জন্য এ হামলাগুলো চালানো হচ্ছে। দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সংস্কৃতিকে নষ্ট করবার জন্য জঙ্গিরা এ হামলা করছে। যারা হামলা করছে সরকারের দায়িত্ব তাদের খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করা।’
সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল বলেন, ‘যারা রমনার বটমূলে ও উদীচীর সম্মেলনে বোমা হামলা করেছিল তারাই কান্তজিউ মন্দির প্রাঙ্গণে রাসমেলায় বোমা হামলা চালিয়েছে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘বোমা হামলা এ এলাকার মানুষের ওপর কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। অন্যান্য দিনের চেয়ে এখন দর্শনার্থীদের আগমন আরো বেড়েছে। মেলায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। মেলায় পুলিশ ও বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন মেলায় রয়েছে।’
পরিদর্শনের সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কাহারোল উপজেলার চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদর দিনাজপুর শাখার সভাপতি বিশ্বজিৎ ঘোষ এবং সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক পরিমল চক্রবর্তী তপন প্রমুখ।
এদিকে, মেলায় বোমা হামলার মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আহসানুর রহমান প্রধানকেও প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। জানা গেছে তিনিও সেদিন মেলায় উপস্থিত ছিলেন। মামলার তদন্ত ভার দেয়া হয়েছে এসআই তাইজুল ইসলামকে।