সব সংবাদ

দীপন হত্যায় যুবক গ্রেফতার

09ফেনী: প্রকাশক ফয়সল আরেফীন দীপন হত্যার ঘটনায় ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা থেকে গত মঙ্গলবার মুফতি জাহিদুল হাসান মারুফ (২৪) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্য এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানাননি। তবে নাম প্রকাশ না করে পুলিশের একজন কর্মকর্তা মারুফকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। মারুফ ফুলগাজী উপজেলার আমজাদহাট ইউনিয়নের উত্তর তারাকুছা গ্রামের মুফতি হাবিব উল্যার ছেলে। তিনি আমজাদ হাট এলাকার স্থানীয় জামেয়া আরাবিয়া আহসানুল উলুম মাদরাসা ও এতিমখানার সহকারী শিক্ষক।

মারুফের বাবা বলেন, “গত মঙ্গলবার ভোরে ঢাকা মহানগর পুলিশের শাখার (ডিবি) সদস্য পরিচয়ে সাদা পোশাকধারী কিছু লোক তাদের গ্রামের বাড়ি থেকে মুফতি জাহিদকে আটক করে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান। গত বুধবার রাতে ঢাকার মিন্টু রোডে ডিবি পুলিশের তত্ত্বাবধানে থেকে ছেলে জাহিদ মোবাইলে তার মায়ের সঙ্গে কথা বলে দোয়া চেয়েছেন।”

মুফতি হাবিব উল্যা বলেন, তার তিন ছেলের মধ্যে বড় ছেলে মুফতি মাহমুদুল হাসান মাছুম নোয়াখালীর সোনাপুর এলাকায় হাজিরহাট মাদরাসায় শিক্ষকতা করেন। ছোট ছেলে ফেনীর ছাগলনাইয়ার আজিজিয়া সিনিয়র মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। তিনি নিজেও কোনো রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন না। তার তিন ছেলেরও কোনো ধরনের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই। তার ছেলে জীবনেও ঢাকায় যাননি। শুধু গত রমজানে মেজ ছেলে মুফতি জাহিদুল হাসান মারুফ চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি নানুপুর মাদরাসায় এতেকাবে যান।

স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, মুফতি হাবিব উল্যা বেশ কয়েক বছর আগে এলাকায় জামেয়া আরাবিয়া আহসানুল উলুম মাদরাসা ও এতিমখানা নামে একটি ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। ছেলের লেখাপড়া শেষে তাকেও ওই মাদরাসায় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন।

আমজাদ হাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ বলেন, তিনি ওই পরিবারকে জানেন এবং ছেলেকে আটক করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পর তাদের বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি জেনেছেন। এলাকায় পরিবারটিকে ধার্মিক পরিবার হিসেবে জানে সবাই।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.