Lead

দাম কমলেও বেশি দামেই কিনতে হচ্ছে সয়াবিন তেল

বিশ্ববাজারে সয়াবিন ও পাম তেলের দাম কমায় সরকারও দেশে কমিয়েছে সয়াবিনের দাম। বিশ্ববাজারে সয়াবিন ৩২ শতাংশ কমলেও সরকার দাম কমিয়েছে লিটারে ১৪ টাকা।

কিন্তু সরকারি এ দামে খুচরা বাজারে কোথাও বিক্রি হচ্ছে না সয়াবিন তেল। খুচরা বাজারে কোনো বিক্রেতা ২০০ টাকা দামেই বিক্রি করছেন আবার কেউ ১৯০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। নতুন দাম কার্যকর আগামী সপ্তাহে হতে পারে বলে খুচরা ব্যবসায়ীরা মনে করছেন।

বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটার প্রতি ১৪ টাকা কমিয়ে ১৮৫ টাকা নির্ধারণ করে সরকার। এ দাম ১৮ জুলাই থেকেই কার্যকর করার ঘোষণা দিয়েছিল সরকার।

এদিকে সরকার নির্ধারিত দামে তেল কিনতে চাইলেও ক্রেতাদের আগের দামেই কিনতে হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।

শুক্রবার (২২ জুলাই) সকালে রাজধানীর নিউমার্কেট, হাতিরপুল ও আজিমপুর কাঁচাবাজার ঘুরে বাজারের এ চিত্র উঠে এসেছে।

নিউমার্কেট বাজারে তেল কিনতে সজিব স্টোরে দাম জিজ্ঞেস করায় দোকানি প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ২০০ টাকা করে বিক্রি করছেন বলে জানান।

নতুন দামে বিক্রি করছেন না কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগের কেনা তেল এখনও শেষ হয়নি। এজন্য আগের দামেই বিক্রি করছি।

পাশেই সৌরভ স্টোর নামে দোকানে সয়াবিন তেলের দাম জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান ১৯০ টাকা দরে বিক্রি করছেন।

এ দোকানি সরকার নির্ধারিত দামে কেন বিক্রি করছেন না জানতে চাইলে বলেন, অন্যদের চেয়ে কমে বিক্রি করছি লস হচ্ছে তারপরও। কারণ কমে বিক্রি না করলে মজুদ শেষ হবে না।

বাজার সরকারি দামে বিক্রি হতে আরও এক সপ্তাহ লাগবে বলে জানান এ বিক্রেতা।

ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বুধবার এক চিঠিতে বাণিজ্য সচিবকে জানিয়েছিল বৃহস্পতিবার থেকে সরকার-ঘোষিত কম মূল্যে তেল পাওয়া যাবে।

কিন্তু দুই দিন পার হলেও বাজারে আগের দাম কিংবা একটু কম দামে বিক্রি হলেও সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি হচ্ছে না।

সয়াবিন তেল কিনতে আসা তোফায়েল আহমেদ বলেন, দাম বাড়লে আগেই ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ায়। কিন্তু দাম কমলে এরা নানা অজুহাত দেখায় দাম কমানোর। সরকারের উচিত বাজার নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া।