শিক্ষা-সংস্কৃতিসব সংবাদ

দশম ও দ্বাদশ শ্রেণিতে নিয়মিত, অন্য শ্রেণির ক্লাস সপ্তাহে ১ দিন

করোনা অতিমারীতে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি চলছে। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠা খুলে দিলেও আপাতত সবার প্রতিদিন ক্লাসে যেতে হবে না। শুধুমাত্র দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাস হবে। মাধ্যমিরকর অনৗ ক্লাসের শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে এক দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে ক্লাসে অংশ নিতে হবে। রাববার (২৪ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে এ তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর এখন শুধুমাত্র দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাস হবে। বাকিরা সপ্তাহে এক দিন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে ক্লাস করবে।’

পরীক্ষা ছাড়াই এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশের বিদ্যমান আইন সংশোধনের প্রস্তাব সংসদে পাসের প্রক্রিয়ার সময় এ কথা বলেন তিনি।

দীপু মনি বলেন, ‘আগামী ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির নিয়মিত ক্লাস হবে। অন্য শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে একদিন করে আসবে। পুরো সপ্তাহের পড়া নিয়ে যাবে। পরের সপ্তাহে আবার একদিন আসবে।’

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক, শ্রেণিকক্ষে তাদের গাদাগাদি করে বসতে হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বসানো সম্ভব হয় না। তাই সব শ্রেণির শিক্ষার্থীদের এক সঙ্গে না এনে আলাদা আলাদা দিন ক্লাসে আনার ব্যবস্থা হবে।

গত ২৩ জানুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর থেকে স্কুল, মাধ্যমিকও উচ্চমাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান খেলার প্রস্তুতি সংক্রান্ত নির্দেশনা মাঠ পর্যানো হয়েছে।

চলতি বছরের এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন  শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

রবিবার শিক্ষামন্ত্রী সংসদে বলেন, ‘আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের প্রস্তুতি নিতে বলেছি। এরপর জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির পরামর্শ নিয়ে ঘোষণা করব কবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলব।’

করোনার কারণে গতবছর পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনী পরীক্ষা এবং প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বার্ষিক পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। আর গতবছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের ফল ঘোষণা করা হবে অষ্টমের সমাপনী এবং এসএসসি ও সমমানের ফলফলের ভিত্তিতে। ফল প্রকাশের জন্য রবিবার সংসদে আইন সংশোধন করে বিল পাস করা হয়।