Leadসংবাদ শিরোনাম

দলনিরপেক্ষ সরকার দাবি বিএনপির

ঢাকা জার্নাল: দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন না হলে নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি। তাদের দাবি নির্বাচনকালে দলনিরপেক্ষ সরকার।
ববার সকালে হরতাল চলাকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা ও মুখপাত্র শামসুজ্জামান দুদু এ কথা বলেন।

শামসুজ্জামান দুদু প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘আপনি ’৭৩ এর অথবা ভোলা মার্কা নির্বাচন করতে চান কিনা তা আগে স্পষ্ট  করুন।’

সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা ও মিডিয়ার ওপর  হস্তক্ষেপকে পাকিস্তানি কালাকানুনের  সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে তার চেয়েও এখন ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে।’

‘বিএনপি নেত্রীর মতো বর্তমান সরকার মাগুড়া মার্কা নির্বাচন করতে চায় না’ প্রধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের জবাবে দুদু বলেন, ‘১৯৯৬ সালে মাগুরা নির্বাচন হওয়ার পর তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা, সেই সময়কার প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কাছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি জানিয়ে তুমুল আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘পরে খালেদা জিয়া দেশের মানুষের প্রতি সম্মান দেখিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নিয়েছিলেন। সেই সরকারের মাধ্যমে তারা ক্ষমতায় এসেছিল কিন্তু এবার ক্ষমতায় এসে তারা আইনটি বাতিল করে দেন।’

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘এই সরকারের আমলে ফের ভোলা মার্কা নির্বাচন আমরা হতে দেব না। খালেদার জিয়ার আহ্বানে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, তাতে যারা অংশ নিচ্ছে সরকার তাদের নির্যাতন করছে এবং বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দিচ্ছে।’

তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে যদি আপনাদের কোন অ্যালার্জি থাকে, তাহলে দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন এবং দিতে হবে।’

১৮ দলের ডাকা রোববারের হরতাল সারাদেশে শান্তিপূর্ণ ও স্বতস্ফূর্তভাবে পালিত হচ্ছে বলেও দাবি করেন দুদু।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ঢাকা মহানগরের সদস্য সচিব আবদুস  সালাম, সহদপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, শামীমুর রহমান শামীম, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ  সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।

সকাল থেকেই বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মূল ফটকে তালা ঝুলছে। হরতালের শুরু থেকে বেলা পৌনে ১২টা পর্যন্ত বিএনপি কার্যালয়ে কোনো নেতাকর্মী প্রবেশ করেনি বা কার্যালয় থেকে কেউ বের হননি। কার্যালয় ঘিরে অবস্থান করছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ।

এদিকে নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ডাকা হরতালের শুরুতেই বিভিন্ন স্থানে মিছিল থেকে যানবাহন ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ করেছে পিকেটাররা।

হরতালে নাশকতা ঠেকাতে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে সতর্ক পাহাড়া ও টহল দিচ্ছে পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরা। জনসাধারণের নিরাপত্তায় কোনো পথচারীদের তল্লাশি করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮দলীয় জোট তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা পুর্নবহাল, সব রাজবন্দীর মুক্তি, সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধের প্রতিবাদ ও সরকারের পদত্যাগ দাবিতে রোববার এ সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহ্বান করেছে।

ঢাকা জার্নাল, ২৬ মে ২০১৩।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.