শীর্ষ সংবাদ

তথ্য প্রযুক্তি আইনের অপব্যবহার করে ইপিবি কর্মকর্তাকে আটক

epb_logo01.jpg-2009-03-30-
ঢাকা জার্নাল: রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম তথ্য প্রযুক্তি আইনের অপব্যবহারের শিকার হয়েছেন। কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসককে মোবাইলে এসএমএস’র মাধ্যমে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে ওই কর্মকর্তাকে ইপিবি কার্যালয় থেকে গ্রেফতার করে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। এনিয়ে ইপিবি’র সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। ক্ষুব্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এবিষয়ে সংসদীয় কমিটির হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি বরাবর লেখা অভিযোগে বলা হয়েছে, কোন মামলা ছাড়াই গত ১০ অক্টোবর রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ইপিবি কার্যালয় থেকে সংস্থার পণ্য উন্নয়ন বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. জহিরুল ইসলামকে পুলিশ আটক করে। এ সময় সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আটকের কারণ জানতে চাইলে পুলিশ জানায়, মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক (ডিসি) সৈয়দ বেলাল হোসেনকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে তাকে আটক করা হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে যে মোবাইল ফোন নম্বর থেকে হুমকি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, সেই নম্বরটি জহিরুল ইসলামের নয়। বিষয়টি জানানো হলেও পুলিশ তা আমলে নেয়নি। এমনকি তাকে গ্রেফতারের বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়া হয়নি।

ওই ঘটনার পর ইপিবি’র ভাইস চেয়ারম্যান (চলতি দায়িত্ব) ড. রাখাল চন্দ্র বর্মণ বিষয়টি বাণিজ্য সচিব মাহবুব আহমেদকে অবহিত করে চিঠি লেখেন। যে চিঠির অনুলিপি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দপ্তরেও পাঠানো হয়। চিঠিতে বলা হয়, মোবাইলে এসএমএস’র মাধ্যমে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেনকে অফিস কক্ষ থেকে কুষ্টিয়ার ডিবি পুলিশ তেজগাঁও থানা পুলিশের সহায়তায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। আটকের সময় জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে কোন মামলা ছিল না। তাকে আটকের জন্য ইপিবি কর্তৃপক্ষের কোন অনুমতিও নেওয়া হয়নি। এমনকি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া তাকে কোথাও না নেওয়ার অনুরোধ করা হলেও পুলিশ তাতে পাত্তা দেয়নি। অনুরোধ উপেক্ষা করে পুলিশ তাকে প্রথমে তেজগাঁও থানা এবং পরে কুষ্টিয়ায় নিয়ে যায়। বর্তমানে সে কুষ্টিয়া কারাগারে আটক আছে।

লিখিত আবেদনে বলা হয়েছে, অনেক সময় হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের শৈথিল্য দেখা গেলেও হত্যার হুমকির ঘটনার করা সাধারণ ডায়েরির প্রেক্ষিতে ইপিবি কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দূর্ভাগ্যজনক। এক্ষেত্রে কুষ্টিয়ার ডিসি ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। বেলাল হোসেন কুষ্টিয়ার ডিসির দায়িত্ব গ্রহণের আগে ইপিবিতে কর্মরত ছিলেন। তখন তার অনিয়মের প্রতিবাদ করার কারণে জহিরুল ইসলামের সঙ্গে মতবিরোধের সৃষ্টি হয়। শুধু জহিরুল ইসলাম নয়, ইপিবি’র অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে তার সম্পর্ক ভালো ছিলো না। যে কারণে পরিকল্পিত ভাবে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে জহিরুল ইসলামকে এই হয়রানির হাত থেকে রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংসদীয় কমিটির প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ঢাকা জার্নাল, অক্টাবর ২৯, ২০১৩।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.