Lead

ঢাকা আসছেন জাতিসংঘের বিশেষ দূত

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্জন রয়েছে। এ অর্জন কিভাবে অক্ষুণ্ন রাখা যায় এবং সর্বস্তরের জনগণের মাঝে সমানভাবে এর সুফল নিশ্চিত করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনার জন্য চরম দারিদ্র্য ও মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক ওলিভিয়ার ডি শ্যুটার ঢাকা সফর করবেন।

বুধবার (১০ মে) জাতিসংঘ ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ১৭ থেকে ২৯ মে ওলিভিয়ার ডি শ্যুটার দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারের উদ্যোগগুলো দেখতে বাংলাদেশ সফর করবেন।

স্বাধীন বিশেষজ্ঞ ডি শ্যুটার বলেন, ‘আসন্ন সফরের ফলে আমি এই বিষয়ে আরও বেশি শুনতে ও জানতে পারবো। অর্থনৈতিক ও জলবায়ুজনিত অভিঘাতের প্রেক্ষাপটে মানুষকে দারিদ্র্যমুক্ত রাখতে ও সবার জন্য মানসম্পন্ন জীবনমান নিশ্চিতকরণে সরকার যাতে সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রাখতে পারে, সেসব বিষয়ে কিছু দিকনির্দেশনা প্রদান করতে পারবো।’

সফরকালে জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ ঢাকা ও রংপুর বিভাগের কিছু এলাকা এবং কক্সবাজার পরিদর্শন করবেন। তিনি এসব এলাকার স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, দারিদ্র্যপীড়িত সম্প্রদায় ও মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

এছাড়া সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির কার্যকারিতা নিরূপণে ডি শ্যুটার দারিদ্র্যের ওপর বাংলাদেশের শ্রম আইন, স্বাস্থ্যসেবা, গৃহায়ণ এবং শিক্ষা ব্যবস্থার প্রভাবগুলো পর্যবেক্ষণ করবেন। নারী, শিশু, প্রতিবন্ধী, বৃদ্ধ, তৈরি পোশাককর্মী এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীসহ যেসব গোষ্ঠী দারিদ্র্য ও বৈষম্যের শিকার, তাদের অবস্থাও পর্যবেক্ষণ করবেন তিনি।

২০২৪ সালের জুনে এই বিশেষজ্ঞ জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে তার চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেশ করবেন।

২০২০ সালের মে মাস থেকে ওলিভিয়ার ডি শ্যুটার (বেলজিয়াম) চরম দারিদ্র্য ও মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করছেন। তিনি জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের নিয়োগকৃত এবং বিশেষ প্রক্রিয়ার অংশ।

উল্লেখ্য, স্পেশাল প্রসিজারস (বিশেষ প্রক্রিয়া) হলো জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের স্বাধীন তথ্যানুসন্ধান এবং পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থার সাধারণ নাম, যা বিশ্বের সর্বত্র নির্দিষ্ট দেশের পরিস্থিতি বা বিষয়গত সমস্যাগুলো নিয়ে কাজ করে। বিশেষ প্রক্রিয়ায় (স্পেশাল প্রসিজারস) এর বিশেষজ্ঞরা স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করেন। তারা জাতিসংঘের পেশাদার কর্মী নন এবং কাজের জন্য তারা বেতনও পান না। তারা যেকোনও সরকার বা সংস্থা থেকে স্বাধীন। এই বিশেষজ্ঞরা তাদের ব্যক্তিগত সক্ষমতায় সেবা দিয়ে থাকেন।