Leadসব সংবাদ

ঢাকার দুই মামলায় খালেদা জিয়ার ‘হাজিরা পরোয়ানা’ কারাগারে

ঢাকা জার্নাল: শাহবাগ ও তেজগাঁও থানার দুই মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জারি হওয়া ‘হাজিরা পরোয়ানা’কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও পরোয়ানা পৌঁছানো হয়েছে কারাগারে। কারা অধিদফতরের ঢাকা বিভাগের ডিআইজি (প্রিজন্স) তৌহিদুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ডিআইজি প্রিজন্স বলেন, ‘‘২০০৭ ও ২০০৮ সালে রাজধানীর শাহবাগ ও তেজগাঁও থানার দুই মামলার ‘হাজিরা পরোয়ানা’ আমাদের হাতে পৌঁছেছে। এসব মামলার ধার্য তারিখে খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করার জন্য আদালতের পক্ষ থেকে এসব পরোয়ানা জারি করা হয়।’’ তবে এই মামলাগুলো কী নিয়ে সেটা তিনি জানাতে পারেননি।

২০০৭ ও ২০০৮ সালে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় থেকে বর্তমান সরকারের সময় পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে দুর্নীতি ও নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৩৫টি মামলা হয় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে। এরমধ্যে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বর্তমানে তিনি নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে রয়েছেন। ২০১৪ ও ২০১৫ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় ঐক্যজোটের ডাকা হরতাল-অবরোধের সময় বাসে আগুন, ভাঙচুর ও মানুষ হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্নস্থানে দায়ের হওয়া ১৩টি মামলায় খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করা হয়। এরমধ্যে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় দু’টি ও দারুস সালাম থানায় ৮ মামলা রয়েছে। বাকিগুলো ঢাকার বাইরে।

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে হাজিরা পরোয়ানার বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার ও তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এমন কোনও তথ্য আমাদের কাছে নেই। পুলিশের অন্য কোনও সংস্থার কাছে থাকা মামলায় হাজিরা পরোয়ানা পাঠানো হয়েছে কিনা, জানি না।’

কুমিল্লায় নাশকতার মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানার বিষয়ে রাজধানীর গুলশান থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘কুমিল্লা কিংবা ঢাকার কোনও মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানাই পাইনি। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিলের কোনও পদক্ষেপও নেইনি।’

২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি রাত আনুমানিক সাড়ে তিনটার দিকে কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী আইকন পরিবহনের একটি বাস কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুর এলাকায় দুর্বৃত্তরা পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে। এতে ঘটনাস্থলে সাতজন ও হাসপাতালে নেওয়ার দু’দিন পর আরও একজনসহ আটজন মারা যান। আহত হন আরও ২৭ জন। এ ঘটনায় খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করা হয়।

ঢাকা জার্নাল, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৮।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.