Leadশীর্ষ সংবাদসংবাদ শিরোনাম

ড. ইউনূস’র বিদায়ে গ্রামীণ ব্যাংক আরো উন্নত: অর্থমন্ত্রী

ঢাকা জার্নাল: গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকে পদ থেকে চলে যাওয়ার পর ব্যাংকি আরো উন্নত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

বুধবার জাতীয় সংসদের ১৮তম অধিবেশনে বিএনপির সংসদ সদস্য মওদুদ আহমেদের পয়েন্ট অব অর্ডারের জবাব দিতে গিয়ে এ মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী।

ড. ইউনূসকে একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ড. মুহাম্মদ ইঊনূস গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি’র পদ থেকে পদত্যাগ করে এই ব্যাংকটি ধ্বংসের জন্য নেমে পড়েন। তিনি এই ব্যাংকে কর্মরতদের বলতে থাকেন তোমাদের আর চাকরি থাকবে না। তোমরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করো। তার ব্যাপারে আমি কিছু বলতে চাই না। তিনি একজন রাজনীতিবিদের মতো কথা বলছেন। 

অর্থমন্ত্রী বলেন, “ড. ইঊনূস গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি’র পদ থেকে পদত্যাগ করার পর আমাদের সঙ্গে তার অনেকবার দেখা হয়েছে। একই অনুষ্ঠানে একই টেবিলে দুজনে খানাও খেয়েছি। কিন্তু গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে তিনি আমার সঙ্গে কোন কথা বলেননি। তিনি বাইরে যেসব কথা বলছেন, গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে যে উদ্বেগ দেখাচ্ছেন লো নিয়ে তো তিনি আমার সঙ্গে কথা বলতে পারতেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ড. মুহাম্মদ ইঊনূস গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছেন সত্য। কিন্তু তার সময়ে গ্রামীণ ব্যাংকে কোন মিটিং হতো না কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হতো না। কিন্তু এখন গ্রামীণ ব্যাংকে নিয়মিত মিটিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ইঊনূস সাহেবের সময় বাংলাদেশ বাংলাদেশে ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্পে ১৬ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছিলো। কিন্তু বর্তমানে ৩৩ হাজার টাকা ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্পে বিনিয়োগ করা হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের আইন অনুযায়ি ড. মুহাম্মদ ইঊনূস ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে অনেক আগেই অযোগ্য হয়েছিলেন। কিন্তু গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো যে, ড. ইউনূস যত দিন চাইবেন ততোদিন ব্যবস্থাপনা পরিচালকে পদে থাকতে পারবেন। কিন্তু এই সিদ্ধান্তটি গ্রামীণ ব্যাংক আইনে নাই। পরবর্তীতে আমি ড. ইউনূসকে ডেকে এই সমস্যা সমাধানের জন্য আলোচনা করি। আমি তাকে প্রস্তাব করি যেন তিনি স্ব-ইচ্ছায় ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ ছেড়ে দেন, তাহলে তিনি যাতে গ্রামীণ ব্যাংকের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন সরকার এমন ব্যবস্থা করবে। কিন্তু তিনি সরাসরি আমাকে না বলে দিলেন, তিনি ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ ছাড়তে রাজি হননি। তিনি আমাকে বললেন, এই বিষয়ে তিনি আদালতে যাবেন এবং আদালতে গেলে আদালত গ্রামীণ ব্যাংকের আইন অনুযায়ি ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদে অবৈধ ঘোষণা করে। এরপর তিনি এমডি পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের এমন কোন ইচ্ছা নাই এই ব্যাংকটিকে ধ্বংস করার। গ্রামীণ কমিশন আমার কাছে এসেছিলো তারা একটি অনুষ্ঠান করতে চায়। তারা আমাকে বলেছিলো তারা কিছু আইডিয়া নিয়েছে গ্রামীণ ব্যাংকে উন্নত করার জন্য। আমি তাদের বলেছি, তোমাদের যা ইচ্ছা করো, সরকার এব্যাপারে কোন হস্তক্ষেপ করবে না।

ঢাকা জার্নাল, জুন ২৬, ২০১৩

 

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.