লাইফ স্টাইলসব সংবাদ

ডিম খাওয়ার ১২ উপকারিতা জেনে নিন

4ডিম অত্যন্ত কম দামের পুষ্টিকর খাবার হিসেবে পরিচিত। আর ডিমে রয়েছে বেশ কিছু পুষ্টি উপাদান, যা দেহের ক্যালরি সরবরাহ থেকে শুরু করে নানা খাদ্যপ্রাণও সরবরাহ করে। ডিমের ১২টি বিষয় তুলে ধরা হলো এ লেখায়। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ইটদিস ডট কম।

১. রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ডিম দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। আপনি যদি দেহের জীবাণুগুলো দূর করতে চান, ভাইরাস ও বিভিন্ন রোগের জীবাণুকে শায়েস্তা করতে চান তাহলে নিয়মিত ডিম খান। একটি বড় ডিমে রয়েছে প্রায় ২২ শতাংশ আরডিএ বা সেলেনিয়াম। এটি শিশুদের পুষ্টি চাহিদা মেটাতেও বিশেষভাবে কার্যকর, যা তাদের বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধক্ষমতা অর্জনে সহায়তা করে।

২. ভালো কোলস্টেরল দেহের উচ্চমাত্রায় কোলস্টেরল ক্ষতি করে এমনটা অনেকেই জানি। কিন্তু কোলস্টেরলের রয়েছে ভালো ও মন্দ। মূলত মন্দ কোলস্টেরল দেহের ক্ষতি করে। আপনি যদি ভালো কোলস্টেরল গ্রহণ করেন তাহলে তা দেহের ক্ষতি করবে না। ডিমে রয়েছে এ ভালো কোলস্টেরল। এটি দেহের মন্দ কোলস্টেরল দূর করতেও সহায়ক। এ কারণে নিয়মিত ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন গবেষকরা।

৩. হৃদরোগের সম্ভাবনা কমায় এলডিএল কোলস্টেরলকে মন্দ কোলস্টেরল হিসেবে বলা হয়। এটি ডিম খেলে কমে যায়। তাই ডিম খাওয়ায় হৃদরোগের সম্ভাবনা বাড়ে না বরং কমে যায়।

৪. উদ্যম যোগায় একটি ডিমে রয়েছে দৈনিক চাহিদা পূরণের উপযোগী ১৫ শতাংশ ভিটামিন বি। এটি দৈনিক খেলে দেহের ভিটামিন বি-র চাহিদা মেটাতে ভূমিকা রাখে। ভিটামিন বি দেহে এনার্জি যোগায়। এ কারণে উদ্যমের প্রয়োজনে ডিম খাওয়ার তুলনা হয় না।

৫. ত্বক ও চুলের উন্নতি ভিটামিন বি কমপ্লেক্স থাকায় ডিম সুস্থ চুল, ত্বক, চোখ ও লিভার গঠন করতে সহায়তা করে। এটি ছাড়াও ডিমে রয়েছে নানা ভিটামিন। এসব ভিটামিন দেহের নার্ভাস সিস্টেম উন্নত করে এবং মাংসপেশির উন্নয়ন ঘটায়।

৬. মস্তিষ্কের উন্নতি ডিম মস্তিষ্কের প্রচুর উন্নতি ঘটায়। এতে রয়েছে মস্তিষ্কের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান, যার নাম কোলিন। গবেষণায় দেখা গেছে, কোলিনের অভাবে মস্তিষ্কের নানা সমস্যা দেখা দেয়। বহু মানুষই ডিম না খাওয়ায় প্রয়োজনীয় এ উপাদানটির অভাবে ভোগেন।

৭. অ্যামাইনো অ্যাসিড মানুষের দেহ ১১ ধরনের প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড বানাতে পারে। এটি জীবনধারণের জন্য অতি প্রয়োজনীয় ভূমিকা রাখতে পারে। মানুষের দেহে ২০ ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড প্রয়োজন হয়। দেহ তার মধ্যে ১১ ধরনের বানাতে পারলেও বাকি ৯ ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিডের সহজ উপায় হলো ডিম খাওয়া।

৮. মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমায় ডিম মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমাতে ভূমিকা রাখে। এটি মানুষের মনের ওপর প্রভাব ফেলে। ২০০৪ সালের এক গবেষণায় ডিমের এ অসাধারণ উপকার সম্পর্কে জানা যায়।

৯. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ডিমে দুটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়অ যায়। এগুলোর নাম হলো লুটেইন ও জিয়াজাথিন। এগুলো চোখ বাঁচাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ডিমের কুসুমে এ উপাদানগুলো পাওয়া যায়। তাই ডিমের কুসুমসহ ডিম খাওয়াই ভালো।

১০. হাড় ও দাঁত মজবুত করা ডিমের উপাদান আপনার হাড় ও দাঁত মজবুত করতে সহায়তা করে। ডিম প্রাকৃতিক ভিটামিন ডি-এর উৎস। এটি ক্যালসিয়াম গ্রহণ করতে সহায়তা করে। আর এতেই সুস্থ হাড় ও দাঁত নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।

১১. পূর্ণতার অনুভূতি পেট ভরে খাওয়া হলেও আমাদের ক্ষুধা লাগতে পারে। আর এতে বাড়তি খাবার খেয়ে দেহের ওজন বেড়ে যেতে পারে। ডিমের উপাদানগুলো আপনাকে খাওয়ার পর পেটে পূর্ণতার অনুভূতি দেবে। এতে বাড়তি খাওয়ার ক্ষুধা কমে যায়।

১২. ওজন কমানো ডিম খেলে দেহের ওজন কমে একথা অনেকেই বিশ্বাস করতে চান না। কিন্তু বিভিন্ন গবেষণায় বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে যে পরিমিত মাত্রায় ডিম খেলে দেহের ওজন কমানো সম্ভব। মূলত ডিমে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান থাকায় তা বাড়তি খাবার খাওয়ার চাহিদা কমিয়ে দেয়। এতে ক্ষুধা কমে যায় এবং দেহের ওজনও কমে যায়।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.