ঝুঁকি নেয়ার কারণেই তথ্যমন্ত্রী করোনায় আক্রান্ত
নিজ দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি নিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। জীবন ঝুঁকি জেনেও নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। প্রতিদিনই মন্ত্রণালয় এবং দলীয় দায়িত্ব পালনের জনসাধারণের মধ্যে উপস্থিত হয়েছেন।পরিবার ও সহকর্মীদের নিষেধের পরও দল ও সরকারে সমানতালে কাজ করেছেন। করোনা সংকটেও মন্ত্রণালয়ে তার সাক্ষাতে এসে কেউ ফিরে যাননি। এমন ঝুঁকি নেয়ার কারণেই তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা মন্ত্রীর করোনা আক্রান্তের কারণ হিসেবে এমনটাই জানালেন। তারা জানান, করোনা সংকট শুরু হওয়ার পর অদ্যাবধি ঘরবন্দি থাকেননি তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি। দল ও সরকারের সমান তালে কাজ করছেন। কখনো দলের নেতাকর্মী, কখনো মন্ত্রণালয়ের কাজে আবার কখনো নিজ নির্বাচনি এলাকার মানুষের সঙ্গে মিশেছেন। প্রতিটি দিনই মন্ত্রী গণমাধ্যম কর্মীসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
মন্ত্রণালয় সূত্র মতে, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বর্তমানে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে উন্নতির দিকে। তিনি নিজে সুস্থতা বোধ করেছেন বলে ঘনিষ্ঠজনদের জানিয়েছেন।
গত শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) রাতে প্রথমে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন তথ্যমন্ত্রী। রবিবার মন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে স্কয়ার হাসপাতালে যান স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম। এ সময় স্কয়ার হাসপাতালের করোনা ইউনিট প্রধান ডা. রায়হান রাব্বানীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার উপস্থিত ছিলেন। তারাও তথ্য মন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা উন্নতি ঘটেছে বলে জানান। সেদিন দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় মন্ত্রীকে। ফেসবুকে নিজের পোস্টে তিনি সকলের দোয়া চেয়েছেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ড. হাছান মাহমুদ একজন কর্মপ্রাণ মানুষ। করোনা সংকটে তিনি একদিনও ঘরে বসে থাকেননি।প্রতিনিয়ত মন্ত্রণালয়ের কাজে সক্রিয় ছিলেন। করোনাকালে অন্য পেশার মতো গণমাধ্যমকর্মীরাও অসহায় হয়ে পড়েন। অনেকেই বেতন-ভাতা এবং চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তার পড়েন। ঠিক সে সময়ে অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
করোনাকালে বকেয়া বিজ্ঞাপন বিল দেওয়ার উদ্যোগ নেন তথ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করে সাংবাদিকদের নগদ প্রণোদনার ব্যবস্থাও করেন। মন্ত্রী হলেও দলীয় কাজে পূর্ণ মনোযোগী ড. হাছান মাহমুদ। করোনা পরিস্থিতি দলের প্রতিটি কর্মসূচি বাস্তবায়নে ছিলেন অগ্রভাগে। মাঠপর্যায়েরর নেতাকর্মীদের খোঁজখবর রাখছেন নিয়মিত। করোনাকালে চট্টগ্রাম বিভাগের সমন্বয়কের দায়িত্বপালনে স্বশরীরে চট্টগ্রামে উপস্থিত হন কয়েকবার।নিজ নির্বাচনী এলাকাতেও সমানতালে কাজ করছেন চট্টগ্রাম-৭ আসনের এ সংসদ সদস্য। ভার্চুয়াল মাধ্যম ব্যবহার করেও দলের সভা অংশগ্রহণ ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।
নির্বাচনী এলাকার মানুষকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণমুক্ত রাখতে প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছেন মন্ত্রী। সরকারি ত্রাণ সহায়তা সুষম বণ্টনে নিয়েছেন কার্যকর পদক্ষেপ। ব্যক্তিগতভাবেও করোনাকালে সুরক্ষা ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন এলাকার হাজার হাজার মানুষের মাঝে। হাছান মাহমুদের নিজ এলাকা রাঙ্গুনিয়া উপজেলাসহ সমগ্র চট্টগ্রামে ও রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্থানে তার দ্রুত ও সম্পূর্ণ সুস্থতার জন্য প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।