Leadশীর্ষ সংবাদ

ঝালমুড়ি বিক্রি করেও জিপিএ-৫

joni20130804071813ঢাকা জার্নাল: পড়াশোনার পাশাপাশি ঝালমুড়ি বিক্রি করেও জনি জিপিএ-৫ পেয়েছে । দিনরাত পরিশ্রম করে মুড়িমাখা বিক্রি করার পরও এ সফলতায় অনেক বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখছে জনি ও তার পরিবার।

মেহেদী হাসান জনি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার সিংগা গ্রামের আবু বাক্কারের একমাত্র ছেলে।

দুর্গাপুর পৌরসভার সিংগা বাজারে আবু বাক্কারের একটি পান-সিগারেট ও মুড়ি-পিয়াজুর দোকান আছে। পরিবারের উপার্জনের একমাত্র উৎস এই দোকানটি। বাবার সঙ্গে পান-সিগারেট বিক্রি করে জনি। এর পাশাপাশি অনেক কষ্টে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে।

দুর্গাপুর ডিগ্রি কলেজের মানবিক বিভাগ থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সাফল্যর সঙ্গে সে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে। তার এ ফলাফলের পেছনে প্রেরণা জুগিয়েছে হতদরিদ্র বাবা ও কলেজের শিক্ষকরা।

জনির বাবা আবু বাক্কার বলেন, ‘আমার ছেলে দিনরাত হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করতো। দারিদ্রের কারণে তাকে আমি পড়ালেখার পরিবেশ দিতে পারিনি। ভালো প্রাইভেট দিতে পারিনি। সে প্রতিদিন দোকানে আমার কাজে সাহায্য করতো। তারপরও সে এতো ভালো ফল করবে এটা কখনোই ভাবতে পারিনি।’

তিনি সবার কাছে ছেলের জন্য দোয়া চান।

জনি তার সাফল্যের জন্য প্রথমেই মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে জানায়, তার সাফল্যের পেছনে রয়েছে বাবা-মায়ের অনুপ্রেরণা, শিক্ষকদের উৎসাহ-প্রচেষ্টা এবং গ্রামবাসীর দোয়া।

সে আরো জানায়, দারিদ্রের কারণে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে অনেক কষ্ট হলেও তাতে হতাশ হয়নি। শত কষ্টের মাঝেও পড়ালেখা চালিয়ে গেছে।

ভবিষ্যতে জনি একজন ব্যাংকার হতে চায় ।

ঢাকা জার্নাল, আগস্ট ৪, ২০১৩।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.