ঢাকাসব সংবাদ

জ্বালানি তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ হচ্ছে

Oilঢাকা জার্নাল: জ্বালানি তেলের দাম পুনর্নির্ধারণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তবে প্রথমে বিদ্যুৎকেন্দ্র ও শিল্প-কারখানায় ব্যবহৃত ফার্নেস তেলের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে।

অন্যান্য জ্বালানি তেলের দাম কবে থেকে এবং কতটা কমবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে আগামী মাসে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্ভরযোগ্য সূত্রে এ খবর জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ফার্নেস তেলের দাম কমানোর বিষয়ে কয়েক দিনের মধ্যেই পরিপত্র জারি করা হতে পারে।

এই বিষয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সোমবার বলেন, সরকার বিদ্যুৎকেন্দ্র ও শিল্প-কারখানায় ব্যবহৃত ফার্নেস অয়েলের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে কতো কমানো হবে- সেটা যাচাই-বাছাই করে এক সপ্তাহের মধ্যে ঘোষণা দেওয়া হবে।

তিনি আরো বলেন, অন্যান্য তেলের দামও পুনর্নির্ধারণ করা হচ্ছে। এসব তেলের দাম কতটা কমানো হবে এবং তা কবে থেকে কার্যকর হবে, সে বিষয়ে নীতিনির্ধারক মহলে কাজ চলছে।

প্রসঙ্গত, বছরখানেক আগে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল (ক্রড অয়েল) প্রতি ব্যারেলের দাম উঠেছিলো ১২২ ডলার। সেই বৃদ্ধির অজুহাতে ২০১৩ সালের ৪ জানুয়ারি জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয় বাংলাদেশে। তখন পেট্রোল-অকটেন লিটার প্রতি ৫ টাকা ও ডিজেল কেরোসিনের দাম ৭ টাকা করে বাড়ানো হয়েছিলো।

বর্তমানে ক্রুড ‍অয়েলের দাম কমতে কমতে ৪০ ডলারে নেমে এসেছে। এ অবস্থায় বিভিন্ন মহল থেকে তেলের দাম কমানোর আহ্বান জানানো হয় সরকারের প্রতি। কিন্তু তারপরও তেলের দাম না কমানোর কারণ হিসেবে বলা হয়েছিলো, বিপিসি আগে লোকসান যে দিয়েছে সেগুলো পুষিয়ে নেওয়া হবে।

বর্তমানে প্রতি লিটার অকটেন ৯৯ টাকা, পেট্রোল ৯৬ টাকা, কেরোসিন ও ডিজেল ৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি লিটার ফার্নেস অয়েলের দাম ৬০ টাকা।

ঢাকা জার্নাল, মার্চ ২৯, ২০১৬।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.