Leadসব সংবাদ

জিয়া কোথায় যুদ্ধ করেছে তার কোনো ইতিহাস নাই: প্রধানমন্ত্রী

জিয়াউর রহমান কোথায়, কোন গ্রাউন্ডে যুদ্ধ করেছে তার কিন্তু কোনো ইতিহাস নাই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, একথা সত্যি যে জিয়াউর রহমান কোনো ফিল্ডে কোথাও যুদ্ধ করেছে এরকম ইতিহাস শোনা যায় না। আমাদের অনেক মুক্তিযোদ্ধারা আহত হয়েছে, বিভিন্ন ফিল্ডে যুদ্ধ করেছে কিন্তু তার (জিয়াউর রহমান) কিন্তু সে রকম ধরনের কোনো ইতিহাস নাই; এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।

বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) সকালে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জিয়াউর রজমান সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাস করতে গিয়েছিল। সেখানে পাবলিক তাকে ঘেরাও দেয় এবং ধরে নিয়ে আসে।

যেহেতু ২৫ শে মার্চ পাকিস্তান হানাদার বাহিনী যখন নিরস্ত্র বাঙালির ওপর তারা আক্রমণ শুরু করে দেয় প্রথমে রাজারবাগ পুলিশ ফাঁড়ি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পিলখানায় তখন ইপিআর এবং ধানমন্ডি ৩২ নং রোড পূর্ব থেকে যেহেতু প্রস্তুতি ছিল এবং একটা নির্দেশনাও ছিল এবং স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণাটা ইপিআর এর ওয়ারলেসের মাধ্যমে প্রচার করে দেওয়া হয় যখন তারা আক্রমণ শুরু করে তার পরবর্তিতে প্রচার করা হয়। যে চারজন ওখানে ছিল সুবেদার মেজর শওকত আলীসহ তারা কিন্তু পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর কাছে ধরা পড়ে দীর্ঘ দিন অত্যাচার করে তাদের হত্যা করে। আর জিয়াউর রহমান সেই সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র নিয়ে আসতে গিয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৫ মার্চ জাতির পিতা ঘোষণা দেওয়ার পরেও জিয়াউর রহমান পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সৈনিক হিসাবে তাদের একজন সামরিক অফিসার হিসেবে কাজ করছিল এবং চট্টগ্রামে আমাদের নেতাকর্মী যখন বেরিকেড দিচ্ছিল তার হাতে কিন্তু অনেকে নিহত হয়েছে। তাদের কে সে (জিয়াউর রহমান) সব সময় বাঁধা দিয়েছে।

তিনি বলেন, জাতির পিতার ঘোষণাটা সেই ঘোষণা ২৬ তারিখ দুপুর বেলায় চট্টগ্রামের যিনি সাধারণ সম্পাদক হান্নান সাহেব তিনি প্রথম পাঠ করেন। এরপর একে একে যারা আমাদের নেতৃবৃন্দ সবাই পাঠ করে এবং সেই সময় নেতৃবৃন্দের মধ্যে কথা ছিল একজন সামরিক অফিসারকে দিয়ে যদি ঘোষণাটা পাঠ করানো যায় তাহলে একটা যুদ্ধ হয়েছে সেই যুদ্ধ যুদ্ধ মনে হবে। তখনই জিয়াউর রহমানকে ওখান থেকে ধরে নিয়ে আসা হয়। মেজর রফিক তাকে প্রথম বলা হয়, তিনি তখন পাকিস্তানিদের সাথে যুদ্ধ করছেন এবং অ্যাম্বস করে বসে আছেন। তিনি বলছেন আমি যদি সরে যাই তাহলে এটা দখল করে নেবে। জিয়াউর রহমানকে যখন ধরে নিয়ে আসা হল তখন কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রের ট্রান্সমিশন অফিস থেকে ঘোষণাটা পাঠ করা হলো। প্রথম দিকে পাঠ করতে গেলে অনেক আপত্তি ছিল, যখন তার দিয়ে পাঠ করানো হল। সেই ভাবেই জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ এবং একথা সত্যি যে জিয়াউর রহমান কোনো ফিল্ডে কোথাও যুদ্ধ করেছে এরকম ইতিহাস শোনা যায় না। আমাদের অনেক মুক্তিযোদ্ধারা আহত হয়েছে বিভিন্ন ফিল্ডে যুদ্ধ করেছে কিন্তু তার কিন্তু সেরকম ধরনের কোনো ইতিহাস নাই এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের নেতারা এখনো আছেন মোশাররফ সাহেব এমপি, তিনিও একজন মুক্তিযোদ্ধা, সরাসরি অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করেছেন। তারা কিন্তু জিয়াউর রহমানের নাম দিয়েছে মিস্টার রিট্রিট। ওনাদের কাছে গল্প শুনেছি যেখানে যুদ্ধ লাগত তার অন্তত তিন মাইল দূরে যেয়ে জিয়াউর রহমান থাকত। সে কখনো অস্ত্র হাতে নিয়ে সামনা সামনি যুদ্ধ করে নাই। হ্যাঁ নেতৃত্ব দেয়া হয়েছিল কিছু দিনের জন্য। এভাবেই সেই জিয়াউর রহমানকেই পেয়েছিল খন্দকার মোস্তাক।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এস এ মান্নান কচিসহ মহানগরের নেতৃবৃন্দ।