জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদ ঠেকাতে জারুরি নির্দেশনা

জাল ও ভুয়া শিক্ষক নিবন্ধন সনদ ঠেকাতে সম্প্রতি শিক্ষকদের সনদ যাচাইয়ের উদ্যোগ নিয়েছিল বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। কিন্তু এই সনদ যাচাইয়ে এক শ্রেণির দালাল প্রতারণার আশ্রয় নেয়। সনদ যাচাইয়ের ব্যবস্থা করে দেওয়ার নামে অর্থও হাতিয়ে নিয়েছে তারা। বিষয়টি এনটিআরসিএ জানতে পারলে সতর্ক করে জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। শুধু জরুরি বিজ্ঞপ্তিই নয়, সনদ যাচাইয়ের জারুরি নির্দেশনা স্পষ্ট করতে আরও একটি নির্দেশনা জারি করে। এনটিআরসিএ সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ সেপ্টেম্বর শিক্ষকদের শিক্ষক নিবন্ধন সনদ যাচাইয়ের নির্দেশনা জারি করা হয়।
নির্দেশনায় এনটিআরসিএ মহাপরিচালক মো. আকারাম হোসেন বলেন, ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের শিক্ষক নিবন্ধন সনদ যাচাইয়ের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান প্রধানের সত্যায়িত সনদের ফটোকপির সঙ্গে নিয়োগপত্রে সত্যায়িত কপি/নিয়োগের স্বপক্ষে প্রমাণাদি পাঠাতে হবে। ’

সনদ যাচাইয়ে এই বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পর শুরু হয়, দালালদের দৌরাত্ম। শিক্ষকরা হয়ানী ও অর্থ অপচয়ের মধ্যে পড়েন। এই পরিস্থিতিতে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি জারি করে এনটিআরসিএ।

সোমবারের (২১ সেপ্টেম্বর) জরিুরি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কিছু অসাধু ব্যক্তি/চক্র বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশ পর্যায়ের শূন্যপদে নিয়োগ প্রদান, সনদ যাচাই, সনদ সংশোধন এবং সনদ উত্তোলনে সহযোগিতার মিথ্য প্রলোভন ও আশ্বাস দিয়ে প্রতিষ্ঠানপ্রধান/সভাপতি/সদস্য সচিব//সদস্যসহ সেবা প্রত্যাশী নিরীহ ব্যক্তিদের কাছ থেকে প্রতারণা করছে মর্মে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।

এতে আরও বলা হয় এনটিআরসিএ স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রেখে পুরোপুরি ডিজিটাল পদ্ধতিতে কোনও ধরনের অর্থ ছাড়া এ পর্যন্ত নিয়োগ প্রক্রিয়াসহ সনদ যাচাই, সনদ সংশোধন এবং সনদ বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন করে চলেছে। ভবিষ্যতে এভাবেই কার্যক্রম চলবে। সুতরায় কোনওভাবেই কোনও ব্যাক্তি বা গোষ্ঠীর মিথ্যা প্রলোভন বা প্রতারণায় বিশ্বাস না করতে অনুরোধ করছে। এ ধরনের যেকোনও তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিকটস্থ থানাসহ অত্র প্রতিষ্ঠানের টেলিফোন টেলিফোন ০২-৪১০৩০০৪৩, ০২-৪১০৩০০৪৬, ০২-৪১০৩০১২৪, ০২-৪১০৩০১২৯ এবং ০১৮১৭৫১৫৪২৮ মোবাইল নম্বরে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।

এই জরুরি বিজ্ঞপ্তি দিয়েই শেষ নয়। এনটিআরএ সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) শিক্ষকদের সনদ যাচাইয়ের গত ৮ সেপ্টেম্বরের বিজ্ঞপ্তি স্পষ্ট করে আরও একটি জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষক নিবন্ধন সনদ যাচাইয়ের ক্ষেত্রে সনদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষককের নিয়োগপত্রের ফটোকপি পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে ওই বিজ্ঞপ্তিতে দেখিয়ে কোনও কোনও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তার উপজেলার সকল বেসরকারি শিক্ষকদের নিবন্ধন সনদ তার কার্যালয়ে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আবারও কোনও কোনও প্রতিষ্ঠান একবার সনদ যাচাই করে নেওয়ার পর শিক্ষকের নিয়োগপত্রসহ পুনরায় সনদ যাচাইয়ের জন্য এ কার্যালয়ে পত্র পাঠিয়েছেন।

এই পরিস্থিতিতে বিজ্ঞপ্তিটিতে স্পষ্ট বলা হয়,‘এখন থেকে যেসকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান এ কার্যালয়ে শিক্ষক নিবন্ধন সনদ যাচাইয়ের জন্য পত্র পাঠাবেন, তারা সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের নিবন্ধন সনদ ও নিয়োগপত্রের কপি (প্রতিষ্ঠান থেকে সত্যায়িত) পাঠাবেন। যারা আগে একবার সনদ যাচাই করে নিয়েছেন তাদের নতুন করে সনদ যাচাইয়ের প্রয়োজন নেই। যারা নিবন্ধন সনদ যাচাইয়ের জন্য এ কার্যালয়ে পত্র পাঠাবেন শুধু তাদের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি প্রয়োজ্য। অন্য কোনও সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রযোজ্য নয়।