শিক্ষা-সংস্কৃতিসব সংবাদ

জাবিতে ধর্ষণ হুমকির অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ

ঢাকা জার্নাল: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণ হুমকির অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ করেছে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১৬ জুলাই) দুপুরে এ মানহানির অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোক্টর সিকদার মো. জুলকারনাইন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪১তম আবর্তনের শিক্ষার্থী হামজা রহমান অন্তর (সহ-সভাপতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা), ৪৬তম আবর্তনের ইসকাদ হারুন আকিব ও জাহিদ হাসান ইমন এই মানহানির অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, আমরাই জাহাঙ্গীরনগর নামক ফেসবুক গ্রুপে কোটা সংস্কার নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে অপপ্রচার চলছিল। সেখানে হামজা রহমান অন্তর শেখ হাসিনার বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে পোষ্ট লিখলে সোনিয়া বিশ্বাস (৪৩তম আবর্তন,সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়) নামের একজন ছাত্রী বিভিন্নরকম উষ্কানিমূলক মন্তব্য করতে থাকে। অনেককে সেই পোষ্টে মেনশন করে এনে গালিগালাজে নেতৃত্ব দেয়।

অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, অন্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা নানা ও মাকে নোংরা ভাষায় আক্রমণ করে সোনিয়া বিশ্বাস। অন্তর তার প্রতিবাদ করলে সোনিয়া যুক্তিতে না পেরে তাকে ব্লক দিয়ে অন্য একজনের পোষ্টে অন্তরকে নিয়ে নোংরা মন্তব্য করতে থাকে এবং পরে উল্টো অন্তরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের হুমকির অভিযোগ দায়ের করে।

মানহানির অভিযোগকারী অন্তরকে ফোন দিলে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের জবাব দিতে গেলে কোটা সংস্কার আন্দোলনের পেছনে লুকিয়ে থাকা অসাধু গোষ্ঠীর ইন্ধনে আমার সংগঠন ছাত্রলীগকে হেয় করতে আমার বিরুদ্ধে এই উদ্দেশ্য প্রণোদিত অভিযোগ আনা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর মানহানির অভিযোগ দায়ের করেছি ও মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

অপর অভিযোগকারী ইমন বলেন, সোনিয়া বিশ্বাস নামের ওই ছাত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া আমার পোষ্টে এসে গালিগালাজ করে। আমার বন্ধু আকিব এর প্রতিবাদ করলে তাকেও তার জন্মপরিচয় নিয়ে গালিগালাজ করে। এখন উল্টো সেই আমাদের বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। প্রোক্টর বরাবর আমি মানহানীর অভিযোগ দিয়েছি।

সোনিয়া বিশ্বাসকে ফোনে সরাসরি ধর্ষণের হুমকি দেয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেউ সরাসরি ধর্ষণ শব্দটি ব্যবহার করেনি। তবে আমার কাছে তাদের হুমকি এমনই মনে হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোক্টর জানান, আমরা পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পেয়েছি। যেহেতু বিষয়টি ধর্ষণের হুমকির মতো স্পর্শকাতর বিষয়, তাই এটা আমরা যৌন নিপীড়ন সেলের হাতে হস্তান্তর করেছি।

তিনি জানান, তদন্তে অভিযোগের সত্যতা না মিললে ওই ছাত্রীর বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৫ তারিখে ওই ছাত্রী জাবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হামজা রহমান অন্তরসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের হুমকির অভিযোগ আনেন।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.