সংবাদ শিরোনামসব সংবাদ

জলবায়ু ভারসাম্য ধ্বংস করেছে উন্নত বিশ্ব

05ঢাকা: উন্নত বিশ্ব মাত্রাতিরিক্ত কার্বন নির্গমনের মাধ্যমে জলবায়ু ভাবসাম্য নষ্ট করেছে। শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর সব দেশেই এর প্রভাব পড়ছে। বাংলাদেশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

রোববার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত এসব কথা বলেন।

‘অ্যাকসেসিং গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড: অপরচ্যুনিটিজ, অপশনস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস ফর দ্যা প্রাইভেট সেক্টর অ্যান্ড সিভিল সোসাইটি অরগানাইজেশনস (সিএসওস)’ শীর্ষক কর্মশালাটি যৌথভাবে আয়োজন করে জার্মান কো-অপারেশন, জিআইজেড, আইআইইডি, আইসিসিসিএডি, ব্র্যাক ও ইউএনডিপি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, প্যারিসে জলবায়ু বিষয়ক যে আন্তর্জাতিক সম্মেলনটি হচ্ছে, সেটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে একটি অ্যাগ্রিমেন্ট হবে। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দায়ী দেশগুলোর কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ নিয়ে ফান্ড গঠন খুবই কঠিন। এজন্য বেসরকারি সেক্টরকে আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।

শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, ২০০৯ সালের কোপেনহেগেন সম্মেলনের মাধ্যমে একটি সমঝোতায় আসে উন্নত দেশগুলো। যারা সবচেয়ে বেশি কার্বন নির্গমন করে তারা প্রতিবছর সরকারি ও বেসরকারিভাবে দরিদ্র দেশগুলোকে ১০০ বিলিয়ন ডালার সহায়তা দেওয়ার চুক্তিতে আসে। কিন্তু সেই তহবিল ব্যবস্থাপনার প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা না থাকার অজুহাতে তারা সে অর্থ ছাড় করেনি। তাই আমাদের আরো সক্ষমতা বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার পরিবেশ বান্ধব শিল্পনীতি গ্রহণ করেছে। আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়াতে সমস্যা হবে না। এজন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সেক্টরের সক্রিয় অংশগ্রহণ জরুরি। আমাদের পরিবেশ বান্ধব শিল্পায়ন নিশ্চিত করতে হবে।

আমির হোসেন আমু বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভাটির দেশ হিসেবে বাংলাদেশ মারাত্মক ক্ষতির শিকার। সম্প্রতি দেশের তাপমাত্রা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য জলবায়ু পরিবর্তন দায়ী। তাই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব রুখতে উন্নত দেশের প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। সেজন্য জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী দেশগুলোর কাছ থেকেই সবুজ তহবিল গঠনের অর্থ আদায় করতে হবে।

তিনি বলেন, ২০০৯ সালে কোপেনগেনের সম্মেলনের পর আমরা তহবিলের জন্য বসে থাকিনি। সরকারিভাবেই পরিবেশ উন্নয়নে কাজ করে গেছি। আর সেজন্যই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের ‘চ্যাম্পিয়ন অব দি আর্থ’ পুরস্কার পেয়েছেন।

পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন-পিকেএসএফ চেয়ারম্যান ড. কাজী খলিকুজ্জমান আহমদ বলেন, জলবায়ু উন্নয়নে কিছু দুর্বলতা আছে। আমাদের মিটিগেশন আছে কিন্তু অ্যাডাপটেশন নেই। কাজেই আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। বিশেষ করে বেসরকারি খাতকে এ বিষয়ে আরো গুরুত্ব দিয়ে তাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও ন্যাশনাল ডেজিগনেটেড অথরিটি (এনডিএ) অব বাংলাদেশ টু দ্য গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড (জিসিএফ) এর জ্যেষ্ঠ সচিব মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দীন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বন ও পরিবেশ উপমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জেকব, ইআরডি এর অতিরিক্ত সচিব শামীমা নারগিস, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান, জাতিসংঘের আবাসিক কোঅরডিনেটর রবার্ট ওয়াটকিনস (Robert Watkins), বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মতলুব আহমেদ (Matlub Ahmed) প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.