জনশক্তি রপ্তানি ৫ লাখ ২৩ হাজার : প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেছেন, এ বছর এখন পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ৫৯৮ জন বাংলাদেশি নাগরিক বিদেশে কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে গিয়েছেন। চলতি বছরই এ সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখে। আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উদযাপন উপলক্ষে আজ আজ বৃহস্পতিবার প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আশা করেন, এ বছর প্রবাসীদের পাঠানো আয় (রেমিট্যান্স) ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে গিয়ে দাঁড়াবে। বর্তমানে প্রায় ৯৬ লাখ বাংলাদেশি নাগরিকের বিদেশে কর্মসংস্থান হয়েছে। তিনি বলেন, যেসব রিক্রুটিং এজেন্সির ট্র্যাক রেকর্ড ভালো, মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণে যাদের অতীত অভিজ্ঞতা আছে তারাই কর্মী পাঠাবে। মালয়েশিয়ায় বড় পরিসরে কর্মী পাঠাতে অচিরেই জিটুজি প্লাস চুক্তি সই হবে। আমরা সর্বশেষ অবস্থায় এসে পৌঁছেছি। এমওইউ সই শুধু বাকি আছে। সেটা হলেই লোক যাওয়া শুরু করবে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মালেয়শিয়ায় সিন্ডিকেটের বিষয়টি আমার জানা নেই। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এই মন্ত্রণালয় এ বছরও ১৮ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস যথাযথ গুরুত্বের সাথে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে উদযাপনের আয়োজন করেছে। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে বিশ্বময় অভিবাসন, সমৃদ্ধ দেশ, উৎসবের জীবন। অভিবাসী কর্মীদের অবদানের কথা উল্লেখ করে বলেন, বর্তমানে প্রায় ৯৬ লাখ বাংলাদেশের নাগরিক অভিবাসী হিসেবে ১৬০ টি দেশে সুনামের সাথে কাজ করছেন। বিশাল সংখ্যক এই প্রবাসী কর্মীরা দেশে বেকারত্বের ওপর চাপ কমানোর পাশাপাশি তারা তাদের মেধা, শ্রম ও নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। মন্ত্রী আরো বলেন, ক্রমান্বয়ে রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকে সঞ্চিত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আমাদের অর্থনীতিকে দাঁড় করেছে শক্ত ভিত্তির ওপর। রেমিটেন্স থেকে প্রাপ্ত আয় দেশের মোট জাতীয় উৎপাদনে (জিডিপি) তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখছে। বিদেশে কর্মসংস্থানের বর্তমান ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্য বিদ্যমান শ্রমবাজার ধরে রাখাসহ আমরা নতুন নতুন সম্ভাবনাময় শ্রম বাজার অনুসন্ধান করছি। এ লক্ষ্যে ইতিমধ্যে থাইল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় কর্মী প্রেরণ বিষয়ে আলাপ আলোচনা হয়েছে।