জনতার ২৫১ কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার
ঢাকা জার্নাল: পণ্য আমদানির নামে এলসি খুলে জনতা ব্যাংক থেকে প্রায় ২৫১ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলার প্রধান আসামি টিপু সুলতানকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
ঢাকা থেকে খুলনায় গিয়ে দুদকের বিশেষ টিম তাকে গ্রেফতার করে।
বুধবার (৩০ মার্চ) দুপুরে খুলনা শহরের দৌলতপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করে দুদকের পরিচালক জায়েদ হোসেন খানের নেতৃত্বাধীন টিম।
টিমের অন্য সদস্যরা হলেন- দুদকের উপ পরিচালক মো. সামছুল আলম ও জাহাঙ্গীর আলম।
গ্রেফতারের বিষয়টি দুদকের উপ পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মতিঝিল থানায় জনতা ব্যাংক থেকে ২৫০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মেসার্স ঢাকা ট্রেডিং হাউজের মালিক টিপু সুলতানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের উপপরিচালক মো. সামছুল আলম মামলাটি (মামলা নম্বর ২২) দায়ের করেন। এ মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
রাজধানীর বিজয়নগরেই টিপু সুলতানের মালিকানাধীন ঢাকা ট্রেডিং হাউজ। এ প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে তিনি ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ওই অর্থ আত্মসাৎ করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- জনতা ব্যাংকের জিএম মো. মঞ্জুরুল ইসলাম, সাবেক এজিএম শামীম আহমেদ খান, জনতা ব্যাংক লোকাল অফিসের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার মো. মশিউর রহমান এবং লোকাল অফিসের সাবেক ম্যানেজার এ এস এম জহিরুল অফিসার।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চিনি ও বাচ্চাদের খাবার আমদানির নামে জনতা ব্যাংকের লোকাল অফিসে ঢাকা ট্রেডিং হাউজের অনুকূলে এলসি খোলেন মো. টিপু সুলতান। পরে সে এলসির বিপরীতে মালামাল আমদানি না করে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে এ কোম্পানির হিসাব নাম্বারে ২৫০ কোটি ৯৬ লাখ ১ হাজার ৪৫৫ টাকা স্থানান্তর করে।
স্থানান্তরিত ওই বিপুল পরিমাণ টাকা ২০১০ থেকে ২০১২ সালের বিভিন্ন সময়ে আসামিরা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে আত্মসাত করেছে, যা দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণ পাওয়া যায়। পরে কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
ঢাকা জার্নাল, মার্চ ৩০, ২০১৬।