‘জঙ্গি প্রতিরোধে বন্ধুপ্রতিম দেশের সহযোগিতা নেওয়া হবে’
ঢাকা জার্নাল: দেশীয় জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা রাজধানীর গুলশান হলি আর্টিজান বেকারি রেস্তোরাঁয় হামলা চালায় বলে ফের জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। দেশের ভেতরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি এ হামলার উদ্দেশ্য ছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সকল প্রকার জঙ্গি কার্যক্রম প্রতিরোধে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং এক্ষেত্রে প্রতিবেশী ও বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোর প্রয়োজনীয় সহযোগিতা গ্রহণ করা হবে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
মঙ্গলবার (০৫ জুলাই) বিকেল সোয়া ৫টায় সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নিহত সন্ত্রাসীদের শনাক্তকৃত পরিচয় থেকে দেখা গেছে যে, তারা সবাই বাংলাদেশের বিভিন্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের সদস্য। দেশের অভ্যন্তরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন সময় যে সকল জঙ্গি কর্মকাণ্ড ইতোপূর্বে সংঘটিত হয়েছে, এ ঘটনাও তারই অনুবৃত্তিক্রমে ঘটানো হয়েছে।
সন্ত্রাসী হামলা ও যৌথ বাহিনীর ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ড’ এর বর্ণনা দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অভিযানকালে মোট ২৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে ৯ জন ইতালীয়, ৭ জন জাপানি ও ১ জন ভারতীয়। বাকি নয়জনের ১ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান, ২ জন বাংলাদেশি। অপর ৬টি মরদেহ সন্ত্রাসীদের। সন্ত্রাসীদের ৫ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাদের অভিভাবকেরা তাদের শনাক্ত করেন। তারা জঙ্গি বলে তথ্য–প্রমাণ পাওয়া গেছে’।
প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান, আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক, ৠাবের ডিজি বেনজীর আহমেদ, ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া প্রমুখ।
ঢাকা জার্নাল, জুলাই ০৫, ২০১৬