ছাত্রীদের নগ্ন সেলফি চাইতেন শিক্ষক ফেরদৌস
ঢাকা জার্নাল : ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মোহাম্মদ মাহফুজুর রশীদ ফেরদৌস।
জবানবন্দিতে শিক্ষক ফেরদৌস জানান, প্রথমে ছাত্রীদের ফুঁসলিয়ে নিজের শ্বশুরের দেওয়া ফ্ল্যাটে নিয়ে যেতেন তিনি। পরে তাদের কাছে নগ্ন সেলফি চাইতেন। এরপর ছাত্রীদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়তেন। উভয়ের সম্মতিতেই এটা হতো।
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তিনি আরো বলেন, প্রথমে ছাত্রীদের শর্ত প্রদান করতাম। আমি তোমাদের পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেব ও ভালো নম্বর দেব। এর বিনিময়ে আমি যা চাইব তা দিতে হবে। এতে ছাত্রীরা রাজি হলে তাদেরকে ফ্ল্যাটে নিয়ে যেতাম। ফ্ল্যাটে নেওয়ার পর তাদের সঙ্গে গল্প করতাম এবং তাদের নগ্ন সেলফি চাইতাম। বিভিন্নভাবে যৌন হয়রানি করতাম। কোনো কোনো ছাত্রী আমার আচরণ বুঝতে পেরে চলে যেত। আর যাদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠতো তা উভয়ের সম্মতিতেই হতো। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ছাত্রীই প্রাপ্তবয়স্ক।
১৫ পৃষ্ঠার জবানবন্দিতে চার ছাত্রীকে যৌন হয়রানির কথা স্বীকার করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, এই আসামি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি করেছেন বলে আদালতের কাছে স্বীকার করেছেন। তবে জোরপূর্বক কারো সঙ্গে সম্পর্ক হয়েছে কিনা তা আসামি জবানবন্দিতে স্বীকার করেননি। তবে ওই শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানি করেছেন, তা তিনি স্বীকার করেছেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আব্দুল্লাহ আল সায়েম কলাবাগান থানায় মামলা করেন। পরে ওই রাতেই কলাবাগানের বাসা থেকে ফেরদৌসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে বুধবার তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
ঢাকা জার্নাল, মে ০৮, ২০১৬।