ছাত্রদের ওপর ভর করে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা

প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এই দাবির প্রতি সহনুভূতিশীল হয়ে আজ থেকে বিআরটিসির বাসে হাফ ভাড়া কার্যক্রর করার নির্দেশনা দিয়েছেন। ইতোমধ্যেই ঢাকা ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতি ঘোষণা দিয়েছে আজ থেকে তারও ঢাকা হাফ ভাড়া কার্যকর করবে। বুধবার (৩০ নভেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ এ তথ্য জানান।

ড. হাসান মাহমুদ বলেন, পরশুদিন রাতে একটি দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে, সেটি হচ্ছে—রাজধানীর রামপুরার পলাশবাড় এলাকায় অনাবিল পরিবহনের বাসে চাপায় একজন ছাত্র নিহত হয়েছে। তার আত্মার মাগফেরাত করছি। কিন্তু এই ঘটনা বিশ্লেষণ করলে আমরা দেখেতে পাই কিছু প্রশ্ন উঠে এসেছে। প্রত্যক্ষদর্শীর তথ্য অনুযায়ী ঘটনাটি ঘটে রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে। ঘটনাটির পর ১০টা ৫৭ মিনিটে নিরাপদ সড়ক চাই ফেসবুক পেইজ থেকে সরাসরি লাইভ করা হয়। রাত ১১টায় জামায়ত পরিচালিত টেলিগ্রাম চ্যানেলে খবরটি প্রকাশিক হয়। আর সেখান থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবরটি ছড়িয়ে পড়ে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে— ১২ মিনিটিই নিরাপদ সড়ক চাই পেইজের অ্যাডমিন সেখানে কীভাবে পৌঁছালো এবং লাইভ কীভাবে করলো? বাঁশের কেল্লা কীভাবে ১৫ মিনিটের মধ্যে খবর পেল এবং সেখান থেকে খবর প্রচার করলো। ঘটনার ১৫ মিনিটের মধ্যে ১০/১২টি গাড়িতে আগুন দেওয়া হলো।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গাড়িগুলোতে আগুন ছাত্ররা দেয়নি। ১৫ মিনিটের মধ্যে এতো  ছাত্র সেখানে পৌঁছায়নি। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে— যারা ফেসবুক পেইজে যারা লাইভ দিয়েছে তারা কি ঘটনা আগে থেকেই অবহিত ছিলো কিনা? ১২ মিনিটের মধ্যে যারা লাইভে গেছে, ১৫ মিনিটের মধ্যে লোকজন যোগাড় করে বাসে আগুন দেওয়া হলো? তারা আগে থেকে প্রস্তুত নিশ্চয় ছিলো। তা না হলে এতো অল্প সময়ে সেনা বাহিনী, পুলিশ সেখানে পৌঁছাতে পারে না, অথচ তারা পৌঁছে গেল। এই প্রশ্নগুলো উঠে এসেছে। অর্থাৎ ছাত্রদের আন্দোলনে ভর করে একটি মহল দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। গত পরশুদিনে রাতের ঘটনা থেকে স্পষ্ট হয়েছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ছাত্রদেরে গায়ে কালিমা লেপন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ছাত্ররা অনেকদিন থেকেই আন্দোলন করছে। তারা কিন্তু কোনও জায়গায় গাড়িদেত আগুন দেয়নি। এমনকি ভাংচুরের ঘটনাও ঘটেনি। ছোটখাটো ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে, সেভাবে ভাংচুরের ঘটনা ঘটেনি। অথচ সেদিন ঘটনার ১৫ মিনিটের মধ্যে কারো কারো মতে ১২টি কারো কারো মতে ১৫টি বাসে আগুন দেওয়া হলো। এগুলো দুষ্কৃতিকারিরা করেছে, যারা দেশে কোনও কিছুর ওপর ভর করে অতীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়েছে আজকেও ছাত্রদের ওপর ভর করে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এই ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে। সুতরাং এদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ ছাত্রদের ওপর কালিমা লেপন করছে। ছাত্রদের আন্দোলনের বিষয়ে সরকার সহনাভূতিশীল।