চুয়েটে উপাচার্যের দফতর ঘেরাও
ঢাকা জার্নাল: আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় ছাত্র কল্যাণ পরিষদের পরিচালক ড. আশুতোষ সাহার পদত্যাগ দাবি করেছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) শিক্ষার্থীরা। এ শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে সোমবার সকাল ১১টায় উপাচার্যের দফতর ঘেরাও করেছে শিক্ষার্থীরা।
বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আমাদের এক সহপাঠী নিহতের ঘটনায় রোববার থেকে আন্দোলন শুরু করি আমরা। কিন্তু আন্দোলন চলার সময় এক শিক্ষার্থীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন ড. আশুতোষ সাহা। এর প্রতিবাদে তার পদত্যাগ দাবি করে সোমবার সকাল ১১টা পর্যন্ত সময় বেধে দেওয়া হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময় শেষে পদত্যাগ না করায় উপাচার্যের দফতর ঘেরাও করা হয়েছে।
আশুতোষ সাহা পদত্যাগ না করা পর্যন্ত উপাচার্যের দফতর ঘেরাও করে রাখা হবে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে দ্বিতীয় দিনের মতো অচল রয়েছে চুয়েট। সকাল থেকেই ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এসময় পেট্রোল দিয়ে টায়ারে আগুন ধরিয়ে নয় দফা দাবির পক্ষে স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। ফলে শিক্ষকরাও একাডেমিক ভবনে প্রবেশ করতে পারেননি।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, গত ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের মদুনাঘাটে লেগুনা উল্টে গিয়ে নিহত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মোহাইমিনুল ইসলাম। এর প্রতিবাদে নয় দফা দাবিতে আন্দোলন নেমেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো, নিহত শিক্ষার্থীর সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দোষী লেগুনা চালককে আটক, কাপ্তাই সড়কে লেগুনা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা, নিউমার্কেট থেকে চুয়েট পর্যন্ত বাস সার্ভিস চালু করা, অনিবন্ধিত সিএনজি অটোরিক্সা চলাচল বন্ধ করা, রাস্তার মাথা থেকে চুয়েট পর্যন্ত স্পিড ব্রেকার নির্মাণ করা, এই রুটে প্রতি পাঁচ কিলোমিটারে একটি করে ট্রাফিক চেকপোস্ট স্থাপন, রাস্তার সম্প্রসারণ ও সংস্কারকরণ এবং চুয়েট মেডিকেল সেন্টারের সামনে সার্বক্ষণিকভাবে দুইটি এ্যাম্বুলেন্স রাখা ও ব্যক্তিগত কাজে এ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার বন্ধ করা, ড. আশুতোষ সাহার পদত্যাগ।
ঢাকা জার্নাল, এপ্রিল ০৪, ২০১৬