‘চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে মানবাধিকার’
ঢাকা জার্নাল: হিউম্যান রাইটস ফোরামের আহ্বায়ক ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেছেন, “দেশে মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে। তবে সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি অস্বীকার করেছে।”
বুধবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং হিউম্যান রাইটস ফোরামের প্রত্যাশা’ নিয়ে মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে সুলতানা কামাল এ কথা বলেন।
সুলতানা কামাল জানান, গত চার বছরের দেশে গুম হয়েছে ১৫৬ জন, এর মধ্যে লাশ পাওয়া গেছে ২৮ জনের। বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের (ক্রসফায়ারের নামে) শিকার ৪৬২ জন। র্যাবের গুলিতে পা হারিযেছে ঝালকাঠির কলেজছাত্র লিমন হোসেন। ভারতীয় বিএসএফ’র গুলিতে ২৭০ জন বাংলাদেশী মারা গেছেন।
তিনি বলেন, “কারাগারে ধারণক্ষমতা আছে ৩০ হাজার ৬৩০ জন বন্দির। কিন্তু বর্তমানে কারাগারে প্রায় ৭২ হাজার বন্দি রয়েছে।”
তিনি জানান, কারাবন্দিদের শারীরিক মানসিক এবং যৌন নির্যাতনের ঘটনাও ঘটছে। কিন্তু সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি অস্বীকার করে চলছে।
সুলতানা কামাল জানান, জেনেভায় অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনে বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফেরামের পক্ষ থেকে তার নেতৃত্বে আগামী ২০ এপ্রিল ১০ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করবেন।
২৯ এপ্রিল মুল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে ২৭টি প্রতিবেদন জমা হয়েছে। তবে ২ মে সার্বিক পর্যালোচনার পর মানবাধিকারের চূড়ান্ত প্রতিবেদন গৃহীত হবে।
তিনি বলেন, ওই সম্মেলনে তারা বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর বিস্তারিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন। একই সঙ্গে ওই সম্মেলনে সরকারের পক্ষ থেকেও মানবাধিকারের বিষয়ে পৃথক প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হবে।
সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাবে সুলতানা কামাল বলেন, “বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং গুমের ঘটনা বন্ধে দায়িত্ব সরকারের। আর রাজনৈতিক কারণে এসব ঘটনা ঘটছে।”
তিনি বলেন, “সরকার পার্বত্য শান্তি চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করেছে, আদিবাসীদের অস্থিত্ব অস্বীকার করেছে। সাম্প্রতিককালে এদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা অনেক বেড়েছে।”
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “রাজনৈতিক কারণে দুর্নীতি বাড়ছে এবং অনেক ভালো কাজের ফল জণগন পাচ্ছে না।”
তবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান সরকারের পক্ষেই কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন জাকির হোসেন, শাহীন আনাম, সালেহ আহমেদ প্রমুখ মানবাধিকার কর্মী