Lead

গ্রেপ্তার আতঙ্কে বিএনপির শীর্ষ নেতারা আত্মগোপনে !

bnp Logoঢাকা জার্নাল: নতুন করে গ্রেপ্তার আতঙ্কে আছেন বাইরে থাকা বিএনপির নেতারা৷ তাই বিএনপির নতুন মুখপাত্র ড. খন্দকার মোশররফ হোসেনসহ উল্লেখযোগ্য কাউকে গত মঙ্গলবারের হরতালে দেখা যায়নি৷

বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাকে জানান, সোমবার রাত থেকেই কারাগারের বাইরে থাকা বিএনপির সিনিয়র নেতারা গ্রেপ্তার আতঙ্কে আছেন৷ তাঁরা সোমবার রাতে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তাঁর গুলশান কার্যালয় থেকে বৈঠক করে বের হওয়ার পরই পুলিশ সবাইকে অনুসরণ করে৷ অনেকের গাড়ি অনুসরণ করে সাদা পোশাকে পুলিশ বাসা পর্যন্ত যায়৷ আর তা থেকেই তারা অনুমান করতে পারেন যে পুলিশ বাকি নেতাদেরও গ্রেপ্তারের চিন্তা করছে৷

এ কারণেই ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সাদেক হোসেন খোকা, হান্নান শাহসহ শীর্ষস্থানীয় নেতারা গ্রেপ্তার এড়াতে কিছুটা সতর্কতা অবলম্বন করছেন বলে জানান তিনি৷

তিনি বলেন, “তাঁদের কেউ কেউ বাসায় থাকছেন না এবং মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে৷”

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, তিনি নিজেও গ্রেপ্তার আতঙ্কে আছেন৷ এ কারণে বাসা ছেড়ে গত কয়েকদিন ধরে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবস্থান করছেন৷ আর সেখানে থেকেই হরতালসহ দলের বিভিন্ন বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন৷ তাঁর ধারণা পার্টি অফিসের বাইরে বের হলেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে৷

বিএনপির ৪১ নেতার মধ্যে তিন জন জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর এখনো ৩৯ জন কারাগারে আছেন৷ মওদুদ আহমেদসহ যারা মুক্তি পেয়েছেন তারা মঙ্গলবারের হরতালে মাঠে ছিলেন না৷ আরো নেতা গ্রেপ্তার হলে বিএনপি কিভাবে সামনের আন্দোলন চালিয়ে যাবে? এমন প্রশ্নের জবাবে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, কোনো গ্রেপ্তার বা নির্যাতনেই আন্দোলন থামবে না৷ নেতাদের কারাগারে নিলে বিকল্প নেতৃত্ব তৈরি হবে৷

এদিকে আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম আগে বলেছিলেন যে, বিএনপি নেতাদের কারাগারে নিলেই সহিংসতা কমে যাবে৷ আর মঙ্গলবার বলেছেন যে, তাঁরা কারাগারে আছেন বলেই মঙ্গলবারের হরতালে বাইরে সহিংস ঘটনা ঘটেনি৷

আইন প্রতিমন্ত্রীর জবাবের প্রেক্ষিতে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, সরকার বিএনপি নেতাদের আটক করতেই পরিকল্পিতভাবে সহিংসতা সৃষ্টি করছে৷ ৩৬ ঘণ্টা হরতালের প্রথম দিন মঙ্গলবারে তেমন কোনো সহিংস ঘটনা না ঘটলেও ঢাকায় খিলগাঁও এলাকায় তিন জন মহিলা পিকেটারকে গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে তিন মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত৷

অন্যদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান জানিয়েছেন, বিএনপির আর কোনো শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তারের পরিকল্পনা তাদের আপাতত নেই৷ আর সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া তারা কাউকে গ্রেপ্তার করেন না৷

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.