Leadসংবাদ শিরোনামসব সংবাদ

‘গ্রাম ও শহরের মধ্যে পার্থক্য কমে আসছে’

17দেশে বর্তমানে গ্রাম ও শহরের মধ্যে পার্থক্য কমে আসছে। গ্রামের আর্থিক ও সামগ্রিক অবস্থা আগের তুলনায় অনেক ভাল। এরপরও গ্রামাঞ্চলে সরকারি সেবাগুলো পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে আরো নজরদারি বাড়ানো দরকার।

বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত পরিসংখ্যান ভবন সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব কানিজ ফাতেমা এসব কথা বলেন।

মনিটরিং দ্য সিচুয়েশন অব ভাইটাল স্টাটিসটিকস অব বাংলাদেশ (এমএসভিএসবি) প্রকল্পের মাস্টার ট্রেইনারদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন উপলক্ষে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।

ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ আবদুল ওয়াজেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সফিকুল ইসলাম, এম এ মান্নান হাওলাদার, ব্যুরোর উপমহাপরিচালক বাইতুল আমীন ভূঁইয়া, এমএসভিএসবি প্রকল্পের পরিচালক এ কে এম আশরাফুল হক বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে সচিব সামাজিক সূচক সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহে বিশেষ সতর্কতারও তাগিদ দেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) সম্পর্কে মানুষের যে ইমেজ তৈরি হয়েছে, তা ধরে রাখতে হবে। এ জন্য কর্মকর্তাদের শুধু বেতন নিলে হবে না, এর বাইরেও নিজস্ব তাগিদে কাজ করতে হবে।

কানিজ ফাতেমা বলেন, বর্তমানে গ্রাম ও শহরের মধ্যে পার্থক্য কমে আসছে। গ্রামের আর্থিক ও সামগ্রিক অবস্থা আগের তুলনায় অনেক ভাল হয়েছে। কিন্তু এরপরও সরকারি সেবাগুলো পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও নজরদারি বাড়ানো দরকার।

তিনি ব্যুরোর কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। এই সাফল্যের চিত্র তুলে এনেছে এমএসভিএসবি প্রকল্পের কর্মীরা। সুতরাং দেশের সামগ্রিক অগ্রগতিতে আপনাদের অবদান কম নয়

তিনি জানান, এমএসভিএসবি প্রকল্পের মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্য বাৎসরিক ও পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এ কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য, শুমারি মধ্যমর্তী  বছরগুলোর জনসংখ্যা বৃদ্ধির উপাদানসমূহ যথা- জন্ম, মৃত্যু, বিবাহ, আগমন, বহির্গমন এবং আর্থ-সামাজিক তথ্য সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ এবং নিয়মিতভাবে প্রকাশের মাধ্যমে পরিকল্পনাবিদ ও নীতিনির্ধারকদের সুষ্ঠু ও তথ্যভিত্তিক জনসংখ্যা পরিকল্পনায় সহায়তা করা।

আবদুল ওয়াজেদ বলেন, আগে প্রতিবেদন পেতে অনেক দেরি হতো। এখন দ্রুততার সঙ্গে প্রতিবেদন দেওয়া হচ্ছে। আপনাদের (সুপারভাইজার) সঠিক সুপারভিশন প্রকৃত তথ্য পেতে সহযোগিতা করবে।

সফিকুল ইসলাম বলেন, এ প্রশিক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা পরিসংখ্যান ব্যুরোর মাঠপর্যায়ের কার্যক্রম শক্তিশালী করার জন্য এই প্রশিক্ষণ বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

এম এ মান্নান হাওলাদার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তির খবর পৃথিবীবাসী জেনেছে। সেই স্বীকৃতির অংশীদার আমরাও। কেননা আমরা যদি এই তথ্যগুলো সঠিকভাবে তুলে না আনতাম, তাহলে জাতিসংঘ এই অর্জন মূল্যায়ন করতে পারতো না।

প্রসঙ্গত, ২৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকা ব্যয়ে এমএসভিএসবি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে পরিসংখ্যান ব্যুরো। ২০১২ সালের জুলাইয়ে শুরু হওয়া প্রকল্পটি শেষ হবে ২০১৭ সালের জুনে।

 

 

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.