‘গার্ল ফ্রেন্ড গরুর হাটে হারিয়ে গেছে খুঁজতেছি’
সম্রাট, ঢাকা জার্নাল: কোরবানির গরু কিনতে বরাবরই হাটে যাই। প্রতিবার আমরা তিন ভাইসহ আত্মীয়রা থাকেন। এখন আমার মেজো ভাই দেশের বাইরে থাকায় আমি আর বড় ভাই (বাপ্পারাজ)সহ অন্যরা মিলে হাটে যাই।
গরুর হাটে গেলেই কোনো না কোনো বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। গরু বিক্রেতা আমাদের চিনতে পারলেই গরুর দাম অনেক বেশি চেয়ে বসেন। এ ধরনের সমস্যায় প্রতিবছরই পড়তে হয়। এ জন্য আমরাও খুব দর-কষাকষি করি। বলতে পারেন এ কাজটি খুব আনন্দ নিয়েই করি। হাটে অনেক রকম লোকজন আসে, অনেকে চিনতে পারে, আবার অনেকে চিনতে পারে না। যখন চিনতে পারে তখন আমাদের পেছন পেছন দৌড়ায়।
একবার গরুর হাটে আমরা গরু কিনতে গিয়েছিলাম। তখন বাপ্প ভাইসহ আমাদের পরিবারের লোকজন সঙ্গে ছিল। আমাদের দেশের এক লোক খুব বেশি একসাইটেড হয়ে এসে বললেন, ‘ভাই হাটে আসছেন?’
আমি বললাম, ‘হ্যাঁ, হাটে আসছি।’
তারপর সে জিজ্ঞেস করল, ‘ভাই কেন আসছেন?’
তখন আমি বললাম, ‘ভাই আমার গার্ল ফ্রেন্ড গরুর হাটে হারিয়ে গেছে তাকে খুঁজতেছি।’
এ কথা শুনে সবাই তো হেসেই অস্থির। এ ধরনের অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। হাটে গেলে দৌড়ের ওপর থাকতে হয়।
সম্রাট।
ঢাকা জার্নাল, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৬।