কুড়িগ্রামে সৈয়দ হকের দাফন সম্পন্ন
ঢাকা জার্নাল: শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের মূল ফটকের দক্ষিণ পাশে সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে সৈয়দ হকের মরদেহবাহী বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার কুড়িগ্রাম পৌঁছায়। কবির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কুড়িগ্রামে যান সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
বিকেল ৪টা ২২ মিনিটে কলেজ মাঠে তার শেষ নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ হকের ছোটভাই অ্যাড. সৈয়দ আজিজুল হক, জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন, পুলিশ সুপার তবারক উল্লাহ, জেলা পরিষদ প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাফর আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম মঞ্জু মণ্ডল প্রমুখ।
এর আগে সকাল সোয়া ১০টায় রাজধানীর তেজগাঁও চ্যানেল আই’র প্রাঙ্গণে শামসুল হকের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে সর্বস্তরের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সকাল পৌনে ১১টায় তার মরদেহ বাংলা একাডেমি এবং সেখান থেকে শহীদ মিনারে নেওয়া হয়।
এরপর দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার পর ইউনাইটেড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সবচেয়ে কম বয়সে বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক।
১৯৩৫ সালে কুড়িগ্রামে জন্ম নেওয়া সৈয়দ হককে কবিতা, উপন্যাস, নাটক, ছোটগল্প তথা সাহিত্যের সব শাখায় সাবলীল পদচারণার জন্য ‘সব্যসাচী লেখক’ বলা হয়। তিনি পেয়েছেন স্বাধীনতা পুরস্কার ও একুশে পদকসহ অসংখ্য পুরস্কার।
ঢাকা জার্নাল, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৬।