কার্ডিফেই স্বরূপে ফিরলেন সাকিব
ঢাকা জার্নাল : কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেনেই দুই বছর পর ওয়ানডে ক্রিকেটে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ইনিংসের হিসেবে যা ৩৫ ইনিংস পর! এর বাইরে আরও চারটি ইনিংসে ব্যাট করার সুযোগ হয়নি তার। সব মিলিয়ে ৩৯ ম্যাচ পর সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন বাংলাদেশের সেরা ক্রিকেটার সাকিব। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম সেঞ্চুরি হলেও সাকিবের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরি।
সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শুক্রবারের ম্যাচটি জিততেই হতো বাংলাদেশকে। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে কিউইদের ২৬৫ রানে অলআউট করে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। কিন্তু ৩৩ রানে শীর্ষ চার ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে নিশ্চিত পরাজয়ের মুখে পড়ে লাল-সবুজরা। সেই ম্যাচ থেকে পঞ্চম উইকেটের রেকর্ড জুটিতে দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলেন সাকিব ও মাহমুদউল্লাহ।
সাকিব সর্বশেষ সেঞ্চুরি করেছিলেন ২০১৪ সালের নভেম্বরে। চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সাকিবের ব্যাট থেকে এসেছিল ১০১ রানের ইনিংস। এর পর অনেকগুলো ম্যাচে হাফসেঞ্চুরির দেখা পেলেও তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে যেতে পারছিলেন না তিনি।
সেই লক্ষ্যে শুক্রবার শুরু থেকেই ধীরস্থির ছিলেন সাকিব। প্রথম ৫০ রান তুলতে খেলেছেন ৬২ বল। দ্বিতীয় ৫০ রানতো আরও দ্রুত। ৫০ বলে পরের ৫০ রানে পৌঁছান সাকিব। মিলনের বলে শর্ট লেগে বিশাল এক ছক্কায় সাকিব সেঞ্চুরির মাইলফলকে পৌঁছান। ১১২ বলে ৯ চার ও এক ছক্কায় সাকিব সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। সবমিলিয়ে ১১৫ বলে ১১৪ রান করে বোল্টের বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন। ১১ চার ও ১ ছক্কায় তিনি তার ১১৪ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছেন।
গত কিছুদিন ধরেই বিশ্বের সেরা এই অলরাউন্ডারকে নিয়ে ছিল সমালোচনা। নামের সঙ্গে ব্যাট ও বল হাতে ভালো পারফরম্যান্স করতে পারছিলেন না। সাকিব ভক্তরা আশায় ছিলেন যথাসময়েই জ্বলে উঠবেন তাদের প্রিয় ক্রিকেটার।
অবশেষে গুরুত্বপূ্র্ণ ম্যাচেই জ্বলে উঠলেন সাকিব। বড় ম্যাচের বড় খেলোয়াড় হিসেবে দলকে জেতালেন কঠিন এক পরিস্থিতি থেকে। তাতে অবশ্য মাহমুদউল্লাহর কৃতিত্ব কোনও অংশেই কম নয়।
ঢাকা জার্নাল, জুন ৯, ২০১৭।