চট্টগ্রামসব সংবাদ

করোনামুক্তির প্রার্থনায় শেষ হলো কঠিন চীবর দানোৎসব

মহামারি করোনাভাইরাস থেকে বিশ্ববাসীর মুক্তির প্রার্থনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে পার্বত্যাঞ্চলে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম কঠিন চীবর দানোৎসব। রাঙামাটি রাজবন বিহারে ৪৭তম দানোত্তম কঠিন চীবর দানোৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এতে লক্ষাধিক লোকের সমাগম হয়। তবে এবার করোনা প্রকোপের কারণে সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে এই দানোৎসব।

দানোৎসব উপলক্ষে শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) সকাল ৬টায় বুদ্ধ পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয় দেব-মানবের তথা সকল প্রাণীর হিতার্থে ধর্মদেশনা। ধর্মদেশনায় উপস্থিত ছিলেন রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান শ্রীমৎ প্রজ্ঞালঙ্কার মহাস্থবির।

কঠিন চীবর দানোৎসবশ্রীমৎ প্রজ্ঞালঙ্কার মহাস্থবির বলেন, ‘বিশাখা প্রবর্তিত এই চীবর অনুষ্ঠান বর্তমানে সার্বজনীন রূপ পরিগ্রহ করেছে। তবে, বর্তমানে মানবসমাজ করোনা মহামারিতে আক্রান্ত। আর করোনা থেকে পৃথিবী ও মানুষকে মুক্তির জন্য বনভান্তের কাছে আমাদের প্রার্থনা করতে হবে।’

পঞ্চশীল গ্রহণের পর দুপুর আড়াইটায় বনভান্তের মানব প্রতিকৃতির উদ্দেশ্যে কঠিন চীবর উৎসর্গ করা হয়। রাজবন বিহারের উপাসক-উপাসিক পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি গৌতম দেওয়ান এ সময় বনভান্তের প্রতিনিধি হিসেবে চীবর দান করেন আবাসিক প্রতিনিধি শ্রীমৎ প্রজ্ঞালঙ্কার মহাস্থবিরকে।

কঠিন চীবর দানোৎসবঅন্য বছর এই অনুষ্ঠানটি ঘিরে দেশ-বিদেশের লাখো জনসমাগম হলেও এবার দু’দিনের অনুষ্ঠান একদিনে সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য বছর অনুষ্ঠানটি ঘিরে বিশাল মেলা বসলেও এবার কোনও মেলা হয়নি।