Leadশিক্ষা-সংস্কৃতিসব সংবাদ

করোনাকালে শিক্ষা সহায়ক বই পড়েন ৯৯ শতাংশ শিক্ষার্থী

করোনা মহামারির সময় অনুশীলনমূলক বা শিক্ষা সহায়ক বই সরাসরি পড়ছেন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের ৯৯ শতাংশ শিক্ষার্থী। অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে বাংলাদেশ এডুকেশন রিপোর্টার্স ফোরাম (বিইআরএফ) পরিচালিত এক জরিপ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। বুধবার (১১ নভেম্বর) এই প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

নগরভিত্তিক এই জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের মধ্যে সহায়ক বই বা অনুশীলন বই সরাসরি পড়েন ৯৯ শতাংশ, আর পড়েন না এক শতাংশ শিক্ষার্থী। করোনার এ সময় সহায়ক বা অনুশীলন বইয়ের মাধ্যমে শিক্ষায় সহায়তা নিয়েছেন ৯৮ শতাংশ শিক্ষার্থী, আর কোনও সহায়তা নেননি ২ শতাংশ শিক্ষার্থী।

জরিপের এই তথ্য উপস্থাপনের পর শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘পাঠ্যবইয়ের বাইরেও শিক্ষার্থীদের জ্ঞানার্জনের জন্য অন্য বই পড়াতে অবশ্যই উৎসাহিত করবো। কিন্তু পরীক্ষায় সুনির্দিষ্ট একটি প্রশ্নের উত্তর লেখার জন্য কোনও একটি বই পড়তে বাধ্য হবে, সেটা যেন না হয়। সহায়ক বইয়ে নানাভাবে নানা কিছু থাকতে পারে। আমরা ছোট বেলায় অনেক বই পড়ে বড় হয়েছি। তাহলে শিক্ষার্থীরা অনেক বই পড়ে আনন্দ খুঁজে পাবে, তা আমরা নিশ্চয় চাই। কিন্তু সেটা যেন পরীক্ষা পাসের জন্যই না হয়।’

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা প্রশ্নের উত্তর শিখবে বিভিন্ন বইয়ের মাধ্যমে, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে, সামাজিক নানা কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়ে শিক্ষার্থীরা শিখবে। শিক্ষার্থীরা হাতে-কলমে শিখবে বিজ্ঞানাগারে। কোনোভাবে খাতা তৈরি করে দেওয়া হলো, তা যেন না হয়। কারিগরি শিক্ষার কাজটি ওয়ার্কশপে বসে শিখবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেন সঠিক ল্যাবরেটরি থাকে, ওয়ার্কশপ থাকে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে জ্ঞান পিপাসা জাগিয়ে তুলতে হবে। শিক্ষার্থীরা আনন্দের মধ্যে শিখবে। কীভাবে শিখতে হয়, সেটাই তাকে শেখাতে হবে। সেই শিক্ষাটা যদি আমরা দিতে পারি, তাহলে জীবনমুখী শিক্ষা দিতে পারবো।’

জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও গণশিক্ষা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ গোলাম মো. ফারুক বক্তব্য রাখেন।

অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে নগরভিত্তিক জরিপ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ এডুকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) সভাপতি মোস্তফা মল্লিক। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলা ট্রিবিউনের সিনিয়র রিপোর্টার এস এম আববাস।

জরিপ প্রতিবেদনের আলোচনায় অংশ নেন— বাংলাদেশ এডুকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের সিনিয়র সদস্য ও জনকণ্ঠের সিনিয়র রিপোর্টার বিভাষ বাড়ৈ, ডেইলি স্টারের সিনিয়র রিপোর্টার মহিউদ্দিন আলমগীর জুয়েল, বিডিনিউজের সিনিয়র রিপোর্টার শহীদুল ইসলাম, বাংলাদেশ এডুকেশন রিপোর্টাস ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক ও একাত্তর টেলিভিশনের রিপোর্টার শারমিন নিরা ও সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের রিপোর্টার নূর এ আলম পিন্টু।