কথা রাখলেন আনিসুল হক
ঢাকা জার্নাল: সবার সহযোগিতা পেলে কোরবানির ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পশুর বর্জ্য পরিষ্কারের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক, তা রেখেছেন। প্রথম দিন কোরবানির যেসব বর্জ্য তৈরি হয় তা ঈদের দ্বিতীয় দিন দুপুরের মধ্যেই সরিয়ে নিয়েছে সিটি করপোরেশন।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় উত্তর সিটি করপোরেশনের অঞ্চল-২ এর আওতায় বিভিন্ন এলাকা ঘুরে কোরবানির বর্জ্য চোখে পড়েনি।
মিরপুর-২ নম্বর সেক্টরের এভিনিউ-১ ও এভিনিউ-২ এবং সেনপাড়া পর্বতা এলাকায় কোথাও আবর্জনা দেখা যায়নি।
এভিনিউ-২ এর বাসিন্দা মো. শহীদ বলেন, বেলা ১১টার দিকে ময়লা নিয়ে ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দিয়ে গেছে সিটি করপোরেশন।
তবে ঈদের দ্বিতীয় দিন যেসব কোরবানি দেওয়া হচ্ছে তার বর্জ্য পরিষ্কার করা নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।
এভিনিউ-১ নম্বর এলাকার বাসিন্দা কলেজ ছাত্র কাজী মো. কায়েস জানান, এ এলাকায় ৪/৫টি গরু জবাই করা হয়েছে। সকালে ময়লা নিয়ে যাওয়ার পর কোরবানি দেওয়ায় সেগুলো পরিষ্কার না করলে দুর্গন্ধ ছড়াবে।
এ এলাকায় বাড়ি থেকে ভ্যানে করে ময়লা নিয়ে যাচ্ছিলেন সিটি করপোরেশনের কর্মী নুর ইসলাম। তিনি বলেন, সকাল থেকে ময়লা পরিষ্কার করছি। বেলা দু’টার দিকে পাঁচটি রোডের ময়লা পরিষ্কার প্রায় শেষ। জমা করে রাখা ময়লা বড় গাড়িতে করে সিটি করপোরেশন নিয়ে গেছে।
এভিনিউ-১ এলাকার বাসিন্দা রুহুল আমিন বলেন, ঈদের আগে সিটি করপোরেশন থেকে যে প্যাকেট দিয়েছিল কোরবানির বর্জ্য সেখানে ভরে নির্দিষ্ট স্থানে রাখা হয়। সকালে ময়লা নিয়ে গেছে।
তবে সচেতনতার অভাবে অনেকেই ময়লা স্যুয়ারেজ লাইনের মধ্যে দিয়েছেন বলেও জানান এলাকাবাসী।
এছাড়া মিরপুর-১০ নম্বর থেকে কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, তালতলা এলাকার কোথাও কোরবানির পশুর বর্জ্য চোখে পড়েনি।
এসব এলাকার অলি-গলির ভেতরে যেসব কোরবানি দেওয়া হয়েছে সেখানেও ময়লা-আবর্জনা অপসারণ করা হয়েছে।
হাতিরপুল এলাকায় যেসব স্থানে কোরবানি দেওয়া হয়েছে সেসব স্থানের বর্জ্যও অপসারণ করে হয়েছে।
ঢাকা জার্নাল, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৬।