‘ওপরের নির্দেশে’ দিনাজপুরে মন্দিরে হামলা হয়
‘ওপরের নির্দেশে’ দিনাজপুরের কাহারোলে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভবনামৃত সংঘের (ইসকন) মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে জেএমবি। আর হামলার এ ঘটনায় হাতেনাতে আটক ও পরে গ্রেপ্তার শরিফুল ইসলাম (২৮) সরাসরি জড়িত ছিলেন।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় দিনাজপুর মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. নাজমুল আহসানের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন শরিফুল ইসলাম। সেখানেই তিনি এসব তথ্য দেন বলে জানিয়েছেন দিনাজপুর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেদোয়ানুর রহিম।
আজ রোববার দুপুর ১২টায় রেদোয়ানুর রহিম জানান, দিনাজপুর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে রিমান্ডে রয়েছেন শরিফুল। তিনি নিজেকে জেএমবির সদস্য বলে আদালতকে জানিয়েছেন ।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দিনাজপুর মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে দিনাজপুরের খ্রিষ্টান ধর্মযাজক পিয়েরো পিচমকে গুলি করার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছিলেন শরিফুল।
১০ ডিসেম্বর রাতে কাহারোলে ইসকন মন্দিরে হামলা করে দুর্বৃত্তরা। হামলায় আহত হন দুজন। ঘটনা শেষে পালিয়ে যাওয়ার সময় জনতা শরিফুলকে ধরে ফেলে। পরদিন ভোরে বীরগঞ্জে একটি একে ২২ রাইফেলসহ মোছাব্বের নামে আরেক ব্যক্তিকে জনতা ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। পরে পুলিশ জানায়, এই দুজন জেএমবির সদস্য।
মন্দিরে হামলার ঘটনায় কাহারোল ও বীরগঞ্জ থানায় দুটি মামলা হয়েছে। মামলা দুটির তদন্তভার ডিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ওই মামলায় ইতিমধ্যে শরিফুল ও মোছাব্বেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে নেয় ডিবি।
এর আগে গত ১৮ নভেম্বর সকালে জেলা শহরের মির্জাপুর এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হন গির্জার ধর্মযাজক ও চিকিৎসক ইতালির নাগরিক পিয়েরো পিচম। এ ঘটনায় শহর জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মাহবুবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুই দফায় রিমান্ড শেষে তিনি এখন কারাগারে আছেন।