কর্পোরেটসব সংবাদ

এসিআইয়ের ‘হিসাব কারসাজি’ খতিয়ে দেখবে ডিএসই’র ম্যানেজমেন্ট

এসিআইয়ের ‘হিসাব কারসাজি’ খতিয়ে দেখতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে দায়িত্ব দিয়েছে বিশেষ তদন্ত কমিটি। রবিবার (১২ মে) কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে ডিএসই’র পরিচালক ও তদন্ত কমিটির সদস্য মিনহাজ মান্নান ইমন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এসিআই ও স্বপ্নের আর্থিক বিবরণী খতিয়ে দেখতে এবং হিসাবে কোনও কারসাজি থাকলে সেগুলো চিহ্নিত করতে ডিএসই’র ম্যানেজমেন্টকে সাত কর্মদিবস সময় দেওয়া হয়েছে। তাদের কাছ থেকে পাওয়া প্রতিবেদনের আলোকে কোম্পানিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত নেবে পরিচালনা পর্ষদ।’
মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, ডিএসই’র চিফ রেগুলেটরি অফিসারকে (সিআরও) সাত কর্মদিবসের মধ্যে একটি প্রতিবেদন কমিটির কাছে উপস্থাপনের জন্য বলা হয়েছে। বিশেষ তদন্ত কমিটির আগামী বৈঠকে ওই প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, আজকের বৈঠকে এসিআই-এর বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল ডিএসই’র। কিন্তু ডিএসই থেকে দেওয়া শোকজের জবাব দিয়েছে এসিআই। এসিআই তার সাবসিডিয়ারি কোম্পানি লোকসান হওয়ার বিষয়ে জবাবে বলেছে- কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) শেয়ারহোল্ডাররা দাবি তুলেছেন, সারা দেশে সাবসিডিয়ারি কোম্পানি স্বপ্নের আউটলেট খোলা হোক। তাতে যদি লোকসান হয় তা শেয়ারহোল্ডাররা মেনে নেবেন। তাই শেয়ারহোল্ডারদের দাবির মুখে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ স্বপ্নে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। এতে লোকসান বেড়েছে এসিআই লিমিটেডের।
মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, ডিএসই’র তদন্ত কমিটি এসিআই এর দেওয়া জবাবকে অগ্রহণযোগ্য মনে করছে। কমিটির মতে, জেনে-বুঝে কোনও শেয়ারহোল্ডার লোকসান মেনে নেওয়ার কথা বলতে পারেন না। এটি খুবই রহস্যপূর্ণ। তদন্ত কমিটির একজন সদস্য বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত যে বিশ্লেষণ করেছি, তাতে স্বপ্ন ও এসিআই এর লোকসানের বিষয়টিকে অস্বাভাবিক ও অসৎ উদ্দেশ্যপূর্ণ মনে হয়েছে। আর সত্যিই যদি স্বপ্ন এত লোকসানি হয়ে থাকে তাহলে এসিআই এর পরিচালনা পর্ষদের উচিত ছিল অনেক আগেই সেটি বন্ধ করে দেওয়া। কারণ এটি একটি তালিকাভুক্ত কোম্পানি। শুধু উদ্যোক্তারা এর মালিক নন, হাজার হাজার বিনিয়োগকারীও এর মালিকানায় রয়েছে। তাই উদ্যোক্তাদের স্বপ্ন পূরণ ও খামখেয়ালির জন্য সাধারণ বিনিয়োগকারীদের এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও বঞ্চিত করার অধিকার তাদের নেই।’
চলতি হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের লোকসানসহ কোম্পানির গত কয়েক বছরের আর্থিক বিবরণীর তথ্য নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালকদের মনে। তারা মনে করছে, এসিআইয়ের সাম্প্রতিক বছরগুলোর আর্থিক বিবরণী মনগড়া ও কারসাজিপূর্ণ। কোম্পানিটি তার সহযোগী প্রতিষ্ঠান এসিআই লজিস্টিক লিমিটেডের (স্বপ্ন) ‘কথিত’ লোকসানের আড়ালে মূল কোম্পানি থেকে টাকা সরিয়ে নিচ্ছে। তাই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ডিএসই’র পরিচালনা পর্ষদ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
‘স্বপ্ন’ বন্ধের সুপারিশ তদন্ত কমিটি করতে পারে কিনা এবং বিএসইসি লোকসানি সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে পারে কিনা- এর জবাবে মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, ‘তদন্ত কমিটি শতভাগ এমন সুপারিশ করতে পারে। আমাদের সব সুপারিশ বিএসইসি’র কাছে তুলে ধরা হবে। আর বিএসইসি তালিকাভুক্ত যেকোনও কোম্পানির সাবসিডিয়ারি শতভাগ বন্ধ করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।’
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি এসিআই লিমিটেডের গত কয়েক বছরের আর্থিক বিবরণীর তথ্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে গত ফেব্রুয়ারিতে ডিএসই’র পরিচালনা পর্ষদ এ তদন্ত কমিটি গঠন করে। ডিএসই পরিচালক ও সাবেক চেয়ারম্যান ছিদ্দিকুর রহমান মিয়াকে প্রধা