শিক্ষা-সংস্কৃতিস্পটলাইট

এমসি কলেজে গণধর্ষণ মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের নির্দেশ

সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে গৃহবধূকে গণধর্ষণ ও চাঁদাবাজির ঘটনায় করা মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই সংক্রান্ত রুল যথাযথ ঘোষণা করে বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের বেঞ্চ এই রায় দেন। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে মামলা স্থানান্তর করতে বলা হয়েছে।

এর আগে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ছাত্রলীগের আট নেতা কর্মীকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। বর্তমানে সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটির বিচার চলমান রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে চলতি বছরের ১ আগস্ট মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করার নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করা হয়। পরে ১৬ আগস্ট রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ওই রুল নিষ্পত্তি করে আজ বৃহস্পতিবার রায় দেয়া হয়।

২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গেলে ওই গৃহবধূকে ছাত্রাবাসে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। পরদিন গৃহবধূর স্বামী ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির অভিযোগে পৃথক মামলা করেন। পরে পুলিশ ছাত্রলীগের আটজনের নামে অভিযোগপত্র দেয়। এরা হলেন- সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেকুল ইসলাম তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল, মিসবাউল ইসলাম রাজন মিয়া, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাসুম। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সাবরিনা জেরিন ও ব্যারিস্টার এম.আব্দুল কাইয়ুম। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান দাউদ।