সংবাদ শিরোনাম

এক বছরে রাজনৈতিক সহিংসতায় ৩৭ শিশু নিহত

২০১৩ সালে শুধুমাত্র রাজনৈতিক সহিংসতায় ৩৭ জন শিশু নিহত হয়েছে। একই সময়ে রাজনৈতিক কাজে শিশুদের ব্যবহারও উদ্বেগজনক অবস্থায় পৌঁচেছে।
সহিংসতা সৃষ্টিতে শিশুদের ব্যবহার করে রাজনৈতিক দলগুলো চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে।
গতকাল বুধবার দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনের আইপিডি সম্মেলন কক্ষে সোস্যাল এন্ড ইকোনোমিক ইনহেন্সমেন্ট প্রোগ্রাম-সিপ আয়োজিত এক সেমিনারে এতথ্য জানানো হয়।
‘পথশিশুদের জন্য করণীয়’ শীর্ষক এই সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সিপ এর নির্বাহী পরিচালক ফজলুল হক চৌধুরী। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
আলোচনায় অংশ নেন শিশু অধিকার ফোরামের এ এস মাহমুদ, আপন-এর ব্রাদার রোনাল্ড, ভার্কের শাহনাজ রহমান, জাতীয় মহিলা আইনজীবী সংস্থার হাসিনা রিভা, ব্রাকের মইনুল ইসলাম, শিশু পল্লূী প্লাসের আসলাম খান প্রমূখ।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডেপুটি স্পিকার পথশিশু নাম নিয়ে দ্বিমত পোষণ করে বলেন, পথশিশু কথা বলেই তাদের আলাদা করে দেওয়া হচ্ছে। তাই পথশিশু না বলে বিশেষ শিশু বলা যায় কি না, তা ভেবে দেখতে হবে। একইসঙ্গে মানুষের শহরমুখি প্রবণতা কমিয়ে গ্রামের দিকে ফিরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নিতে হবে।
তিনি বলেন, পথশিশু রোধে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। এক্ষেত্রে শিশুদের জন্য করণীয় নির্ধারণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আগামীতে শিশু অধিকার নিয়ে কর্মরত ১৩টি মন্ত্রণালয়কে নিয়ে একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করা হবে বলে তিনি জানান।
সেমিনারে উত্থাপিত মূল প্রবন্ধে বলা হয়, ২০০৪ সালে বাংলাদেশে পথশিশুর সংখ্যা ছিলো ৬ লাখ ৮০ হাজার। ২০১৪ সালের শেষ দিকে এই সংখ্যা দাঁড়াবে ১১ লাখ ৪৪ হাজার ৭৪৫ জন। এসব পথশিশুদের প্রায় ৪৪ শতাংশ ধুমপানে আসক্ত এবং রাতে ঘুমানোর জন্য ৪১ শতাংশ শিশুর কোনো বিছানা নেই। তারা নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়। সরকার এই শিশুদের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও তা তাদের কাছে যথাযথভাবে পৌঁছায় না বলে প্রবন্ধে দাবি করা হয়।
সেমিনারে আলোচকরা বলেন, শিশুদের জন্য বিভিন্ন আইন ও বিধান থাকলেও তার যথায়থ প্রয়োগ নেই। তাই পথশিশুর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এই অবস্থা পরিবর্তনের জন্য পূনর্বাসনের মাধ্যমে সকল রাস্তাকে পথশিশু মুক্ত করতে হবে।
পথশিশুদের জীবনমানের উন্নয়নে পৃথক নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানান আলোচকরা।
উল্লেখ্য, বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা সিপ ১৯৮৫ সাল থেকে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের উন্নয়নে বিশেষ করে শিশুশ্রমিক, পথশিশু ও ভাসমান মানুষের উন্নয়নের লক্ষ্যে ঢাকা, নারায়গঞ্জ ও পাবনা জেলাতে কাজ করে আসছে। যার অংশ হিসেবে এই জাতীয় সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে।
এসএমএ/

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.