Leadশিক্ষা-সংস্কৃতিসব সংবাদ

একদিনে তত্বাবধায়ক থেকে অতিরিক্ত, তারপর প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্বে

তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমানকে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে পদোন্নতি দিয়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইউডি) প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এ সংক্রান্ত পৃথক আদেশ জারি করে।    

তবে জ্যেষ্ঠতা লংঘন করে প্রতিষ্ঠানটির একজন জুনিয়র ও সরকার বিরোধী ঘরানার কর্মকর্তাকে প্রধানের দায়িত্ব দেওয়ায় প্রকৌশলীদের মধ্যে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান, ঢাকা অঞ্চল ও ঢাকা মেট্রোপলিটন জোনের কর্মকর্তারা ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। সাংবাদিকদের কাছে তারা অসন্তোষের কথা জানান।

জানা গেছে, গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে আলোচিত এ প্রতিষ্ঠানটির প্রধানের পদ নিয়ে শিক্ষা খাতে রীতিমতো তোলপাড় চলছে। গত ২০ নভেম্বর ইইডির ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী বুলবুল আখতার অবসরে গেছেন। এরপর ওইপদে কাউকে চলতি কিংবা রুটিন দায়িত্বও দেয়া হয়নি। ফলে আপদকালীন কাজ চালানোর মতো কেউ না থাকায় সংস্থাটি বেশ জটিলতার পড়ে।

এরই মধ্যে বিদায়ী প্রধান প্রকৌশলী চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের আবেদন করা হলে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে ওই আবেদনে সাড়া মেলেনি। তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের চেষ্টা নিয়ে নানা অভিযোগও সামনে এসেছে। ওই কর্মকর্তা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বাইরেও প্রকাশ্যে আসে জামায়াতকে অর্থায়ণের তথ্য।

এমন অবস্থায় বিতর্কের বাইরে থাকা একজন কর্মকর্তাকে প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্ব দেয়ার চেষ্টা ছিলো মন্ত্রনালয়ের। কিন্তু মঙ্গলবারের আদেশের পর সেই উদ্যোগ নিয়েও সৃষ্টি হলো নতুন বিতর্ক। জ্যেষ্ঠতা লংঘন করে প্রতিষ্ঠানটির একজন জুনিয়র ও বিতর্কিত কর্মকর্তাকে প্রধানের দায়িত্ব দেওয়ার নতুন সংকট সামনে চলে এসেছে। প্রতিষ্ঠানটির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমানকে প্রধান প্রকৌশলীর রুটিন দায়িত্ব দিতে তাকে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীলও চলতি দায়িত্ব দিয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে।

এদিকে প্রধান, ঢাকা অঞ্চল ও ঢাকা মেট্রোপলিটন জোনের কর্মকর্তারা ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। গণমাধ্যম ও বিভিন্ন দফতরের কাছে অভিযোগ তুলে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা লিখেছেন, আরিফুর রহমানের অবস্থান জেষ্ঠতার তালিকায় ষষ্ঠ।  তার বাড়ি বগুড়ায়। পারিবারিক ভাবে বিএনপির কট্টর সমর্থক এবং আরেক অভিযুক্ত সাবেক প্রকৌশলী বুলবুল আখতার ডান হাত। বিগত বিএনপি সরকারের আমলে প্রধান কার্যালয়কে বিএনপির ছাত্রদল, যুবদল ভুক্ত ঠিকাদারদের আস্তানায় পরিণত করেছিল। কেবল তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এক কর্মকর্তার এলাকায় গিয়ে কাজের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠান থেকে ঘুষ গ্রহণের দায়ে এ কর্মকর্তাকে একবার শাস্তিমুলক বদলিও করা হয়েছিলো। সরকার সমর্থক কর্মকর্তারা প্রশ্ন তুলেছেন, সরকার বিরোধী এক কর্মকর্তার বিকল্প হিসেবে কেন একই অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে এই পদের দায়িত্ব দেওয়া হলো?