রাজশাহীসারাদেশ

উল্লাপাড়ায় সৌন্দর্য বর্ধন করছে উপজেলা প্রশাসন

ঢাকা জার্নাল ডেস্ক: মো. ময়নুল হোসাইন, চলনবিল

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলা পরিষদ চত্বর সহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড় নান্দানিক রূপে সজ্জিত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ হাতে নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। সব শ্রেণি-পেশার মানুষের নজর কাড়তে উপজেলা পরিষদ চত্বরকে পার্কে পরিণত করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, ১৮৭৫ সালে উল্লাপাড়া থানা সৃষ্টির পরবর্তীতে ১৯৯৪ সালে পৌরসভা সৃষ্টি হয়। বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়নসহ এটি ‘এ’ ক্যাটাগরির উপজেলা। উপজেলা শহর ০৩টি মৌজা নিয়ে গঠিত।

বিংশ শতাব্দীর ষাটের দশকে পাবনা-বগুড়া মহাসড়ক সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন করা হলে উল্লাপাড়ার গুরুত্ব বৃদ্ধি পায়। পরবর্তীতে যমুনা সেতু চালু হওয়ায় সমৃদ্ধ ইতিহাস ও ঐতিহ্যের পাশাপাশি ভৌগলিক অবস্থানের কারণে একে উত্তরাঞ্চলের ‘গেটওয়ে’ বা ‘প্রবেশপথ’ বলা হয়ে থাকে। ত্রিমূখী যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্বলিত উল্লাপাড়া উপজেলা ভৌগোলিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, শিল্প-সাহিত্য ও শিক্ষার দিক দিয়ে সিরাজগঞ্জ জেলার অন্যতম সমৃদ্ধ উপজেলা এবং উত্তরাঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এর পর থেকে এই উপজেলার গুরুত্ব বাড়তে থাকে। তবে গুরুত্ব বাড়লেও এ উপজেলার তেমন আধুনিকায়ন চোখে পড়েনি।

তবে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা উজ্জ্বল হোসেন ২২ সালের ২১ মার্চে এই উপজেলায় যোগদানের পর থেকে আস্তে আস্তে উপজেলার চিত্র পাল্টাতে থাকে। উপজেলা চত্বরে পুরাতন টিনের মসজিদ ভেঙ্গে তার নিজ উদ্যোগে একটি নান্দনিক মসজিদ নির্মাণ করে। পরিষদ চত্বরে অবহেলিত পুকুরের চারপাশে ব্লক দিয়ে পাড় বেঁধে বিভিন্ন ধরনের ফুল, ফল এবং কাঠগাছ রোপন করে নান্দনিক হিসেবে সৌন্দর্য বর্ধন করেন।

এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানে শিক্ষার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে তিনি কঠোর নজরদারি রাখেন। তিনি উপজেলার সকল শ্রেনী-পেশার মানুষের কাছে একটা আস্থার জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। তবে অল্প সময়ে তার বদলি জনিত কারনে এই উপজেলার উন্নয়ন মুখ থুবড়ে পড়ে।

তার বদলির পর নতুন উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা যিনি এসেছিলেন তিনি উপজেলার কোন উন্নয়নই করেনি। পরবর্তীতে তিনিও এ উপজেলা থেকে বদলি হয়ে চলে গেছেনা।বর্তমানে উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত যোগ দানের পর থেকে উপজেলার উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ হাতে নিয়েছেন। তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা উজ্জ্বল হোসেন এর বাকি সমাপ্ত কাজগুলো তিনি শেষ করতে চান তিনি। সেই হিসেবে বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত উপজেলার উন্নয়নের বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু করেছেন। তিনি তার কঠোর পরিশ্রমে এ উপজেলার মানুষের জন্য কিছু করতে চায়। ইতিমধ্যে শিক্ষার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তিনি নিজে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করেন। এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও তিনি ব্যাপক ভুমিকা রাখছেন। যোগদানের কিছু দিন হতে না হতেই তিনি মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন।