শীর্ষ সংবাদসংবাদ শিরোনাম

‘উপজেলা ভোটে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্টেরিয়াল ক্ষমতা দেওয়া হয়নি’

ECঢাকা জার্নাল: উপজেলা নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীকে কোনো ম্যাজিস্টেরিয়াল ক্ষমতা দেয়া হয়নি বলে জানয়েছে নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার রাতে সরকারি তথ্য বিবরণীতে এ খবর জানানো হয়েছে।

তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্টেরিয়াল ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে মর্মে সম্প্রতি বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক এবং টিভি চ্যানেলে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। এসব সংবাদের প্রতি নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এ সংবাদটি বস্তুনিষ্ঠ নয়। প্রকৃতপক্ষে উপজেলা নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে সেনাবাহিনীকে কোনো ম্যাজিস্টেরিয়াল ক্ষমতা  দেয়া হয়নি এবং এ ধরনের  কোনো বিধান আইনে  নেই।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে যে কোনো সহিংসতারোধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং স্ট্রাইকিং ফোর্স  হিসেবে সশস্ত্রবাহিনীর উপস্থিতি, কার্যক্রম নির্বাচনী এলাকায় দৃশ্যমান করার জন্য নির্বাচন কমিশন বিশেষভাবে নির্দেশনা প্রদান করেছে বলে সরকারি তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছে।

এতে আরো বলা হয়, এ নির্দেশনা অনুযায়ী কোনো প্রকার দাঙ্গাহাঙ্গামা বা আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থি ঘটনা নজরে আসামাত্র সংশ্লিষ্ট সামরিক কর্মকর্তা ১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধি ১৩১ ধারা  অনুসারে তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে মর্মে আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনকে জানিয়ে  দেয়া হয়।

এ ধারা অনুসারে যখন এইরূপ কোন সমাবেশ থেকে জননিরাপত্তা সুষ্পষ্টভাবে বিপদগ্রস্ত হয় এবং যখন  কোনো ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে  যোগাযোগ স্থাপন করা যায় না, তখন  সেনাবাহিনীর  কোনো কমিশনপ্রাপ্ত অফিসার সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে। এইরূপ সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করিতে পারেন এবং এইরূপ ছত্রভঙ্গ করিবার অথবা আইনানুসারে শাস্তি  দেবার জন্য উক্ত সমাবেশে অংশগ্রহণকারী  কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতার ও আটক করিতে পারিবেন।

তবে এই ধারা অনুসারে কাজ করার সময় তার পক্ষে যদি কোনো ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়, তা হলে তিনি  যোগাযোগ স্থাপন করিবেন। এরপর কাজ চালিয়ে যাওয়া বা না যাওয়ার সম্পর্কে তার পরামর্শ অনুসরণ করবেন বলেও সরকারি তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছে।

উল্লিখিত অবস্থায় উপজেলা নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নিয়োজিত সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্টেরিয়াল ক্ষমতা প্রদান সংক্রান্ত সব বিভ্রান্তি দূর হবে বলে নির্বাচন কমিশন আশা করে।

ঢাকা জার্নাল, মার্চ ২৭, ২০১৪।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.