ইউরোপের সবচেয়ে বৃহত্তম ঐতিহ্যবাহী চাটগাঁয়ে মেজবান লন্ডনে অনুষ্ঠিত
সেলিম হোসাইন
লন্ডনে চট্টগ্রাম সমিতি ইউকে এর উদ্যোগে ইউরোপের সবচেয়ে বড় ঐতিহ্যবাহী চাটগাঁয়ে মেজবান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৬ অক্টোবর রবিবার পূর্ব লন্ডনের লাক্সারি ইভেন্ট ভেনু দা হুইলস হলে অনুষ্ঠিত এই বিশাল মেজবানে যুক্তরাজ্যর বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসরত চট্টগ্রামবাসীর পাশাপাশি বিভিন্ন কমিউনিটির সাত হাজার মানুষ পরিবার ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে এই মেজবানে এসেছেন। তাছাড়াও ইউরোপের সুইজারল্যান্ড,আইয়ারল্যান্ড,ইতালি,স্পেন,জার্মানি, তুরস্ক ,কানাডা ও বাংলাদেশ থেকেও বিভিন্ন কমিউনিটির মানুষ এই মেজবানে অংশগ্রহণ করেছেন। সম্পূর্ণ ফ্রি এন্ট্রি এই ঐতিহ্যবাহী চাটগাঁয়ে মেজবানে খাবারের তালিকায় ছিলো সুস্বাদু মেজবানী গরুর মাংস, ডাল, নলা ও সাদা ভাত। পাশাপাশি চা জিলাপী ও পান সুপারীর ব্যবস্থা। জোহরের নামাজে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে মেজবানের খাবার পরিবেশন শুরু হয়ে শেষ হয় সন্ধা ৭ টায়।
১৮ একরের বিশাল এলাকা নিয়ে মেজবান হল ও আশেপাশে হাজারো মানুষের সমাগম,দেখতে মনে হলো বিলেতে একটা ছোট্ট চট্টগ্রাম।
অনুষ্ঠানে শিশুদের নিয়ে চাটগাঁইয়ে ভাষায় বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক প্রতিযোগিতার আয়োজন মেজবান অনুষ্ঠানকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। প্রবাসে ব্রিটিশ চাটগাঁয়ে শিশুদের চাটগাঁ ভাষার উপস্থাপনা অতিথিদের মুগ্ধ করেছে। শিশুদের সবাইকে সার্টিফিকেট ও উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়।
চট্টগ্রাম সমিতি ইউকে এর কার্যক্রমের উপর নির্মিত ডকুমেন্টটারিও প্রদর্শন করা হয়েছে ।
তাছাড়াও আনন্দ আড্ডার পাশাপাশি শিশুদের বিনোদনের জন্য bouncy castle এর ব্যবস্থা ছিলো। গরীব ও অসহায় মানুষের জন্যও এই মেজবানে চ্যারিটি সংগ্রহ করা হয়েছে। যা বাংলাদেশে গরীব ও অসহায় মানুষের জন্য পাঠানো হবে।
চট্টগ্রাম সমিতি ইউকে ২৯ বছর ধরে লন্ডনে চট্টগ্রামবাসীদের নিয়েই বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক কর্মকান্ড পরিচালনা করে যাচ্ছে।
চট্টগ্রাম সমিতি ইউকে এর চেয়ারপারসন নাজিম উদ্দিন জানিয়েছেন, চট্টগ্রামের নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে প্রবাসে নতুন প্রজন্ম ও অন্যান্য কমিউনিটির সামনে তুলে ধরতে এত বড় এই আয়োজন। প্রবাসে একে অপরের প্রতি সামাজিক বন্ধন ও বন্ধুতপূর্ণ সম্পর্ক আরো জোরালো হবে। নাজিম উদ্দিন অনুষ্ঠান সফল করার জন্য আগত অতিথি,মিডিয়া কর্মীসহ আয়োজনের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
চট্টগ্রাম সমিতি ইউকে এর পৃষ্ঠপোষক হিসাবে এই মেজবানে আর্থিক ও সার্বিক সহায়তা করেছেন জিয়া বিন রাসেল,সাজ্জাদুল ইসলাম, ওমর আলী,এম এ হাশেমসহ আরো অনেকেই।