ইউজিসি থাকছে না, `উচ্চশিক্ষা কমিশন’ চূড়ান্ত
ঢাকা জার্নাল : বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) আর থাকছে না। রূপান্তরিত হয়ে এর নাম হচ্ছে `উচ্চশিক্ষা কমিশন’। প্রতিষ্ঠানটির পরিসর ও ক্ষমতা বাড়াতে `উচ্চশিক্ষা কমিশন আইন-২০১৬’ খসড়া চূড়ান্ত করেছে সরকার। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মো. বেলায়েত হোসেন তালুকদার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে শিগগিরই এই খসড়া উত্থাপন করা হবে। খসড়াটি মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর আইন আকারে পাশের জন্য যাবে জাতীয় সংসদে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মো. বেলায়েত হোসেন তালুকদার বলেন, ‘এখন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ মন্ত্রিসভার নিয়মিত যেকোনো বৈঠকে এই খসড়া উত্থাপন করবে। প্রতিষ্ঠানটিকে শক্তিশালী করতেই সরকার এই উদ্যোগ নিয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) শক্তিশালী করতে ও এটিকে আরও কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে উচ্চ শিক্ষা কমিশন করার প্রক্রিয়া নেওয়া হয় ২০১০ সালে। ইউজিসি সরকারকে কশিমন গঠনের প্রস্তাবও দেয় ওই সময়। এরপর আইনের খসড়া তৈরি করে ইউজিসি ২০১২ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। এরপর অংশীজনের মতামত নিয়ে দফায় দফায় খসড়া সংশোধন করে মন্ত্রণালয়। শেষ পর্যন্ত গত ২০ নভেম্বর প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায় আইনের খসড়াটিতে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
যুগ্ম-সচিব মো. বেলায়েত হোসেন তালুকদার আরও বলেন, সচিব কমিটির সভায় খসড়াটি অনুমোদিত হয়েছে। এখন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ মন্ত্রিসভার নিয়মিত যেকোনও বৈঠকে এটি উত্থাপন করবে অনুমোদনের জন্য। মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিলে আইন আকারে পাশ করার জন্য যাবে জাতীয় সংসদে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, উচ্চশিক্ষা কমিশন আইনের খসড়া অনুযায়ী কমিশন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনেই স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পাবে। তবে এর কাজের ক্ষেত্র আরও শক্তিশালী হবে।
আরও জানা গেছে, উচ্চশিক্ষা কমিশনের আওতায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে নেওয়া হচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে কমিশনের দায়িত্ব পালনে মৌলিক কোনও তফাত থাকবে না।
ইউজিসির খসড়ায় কমিশন প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের অধীনে রাখার প্রস্তাব ছিল। স্বাধীনভাবে প্রশাসনিক ও আর্থিক সিদ্ধান্ত নিতে পারার ক্ষমতাও চাওয়া হয়েছিল। তবে মন্ত্রণালয়ের আওতায় থাকলেও প্রশাসনিক ক্ষমতা প্রয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছে চূড়ান্ত খসড়ায়।
খসড়া চূড়ান্ত হওয়ার কয়েকদিন আগে ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান জানিয়েছিলেন, ‘কমিশন গঠনের প্রস্তাবে স্বায়ত্তশাসনও চাওয়া হয়েছিল। দেখা যাক চূড়ান্ত খসড়ায় কী আসে?’
উচ্চশিক্ষা কমিশন স্বায়ত্তশাসন পাচ্ছে কিনা জানতে চাইলে মো. বেলায়েত হোসেন তালুকদার বলেন, ‘স্বায়ত্তশাসন থাকলেও কোনও কোনও প্রশাসনের আওতায় তো থাকবে। তবে সরকার চায় উচ্চশিক্ষা কমিশনকে শক্তিশালী করতে।’ সেূত্র- বাংলা ট্রিবিউন।
ঢাকা জার্নাল, নভেম্বর ২৫, ২০১৬।