সংবাদ শিরোনামসব সংবাদ

আসক-এর উদ্বেগ ‘বিশেষ বিধানের নেতিবাচক ব্যবহার ঝুঁকি রয়েছে’

25ঢাকা: ‘মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ বছরের কম’ রেখে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের খসড়ায় আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত দেওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।
রোববার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল এ উদ্বেগ জানান।  এতে বলা হয়, ‘বিশেষ কারণের উদ্ভব হলে, পিতা-মাতা বা অভিভাবকের সম্মতি বা আদালতের অনুমতিক্রমে ১৬ বছর বয়সী  মেয়েদের ২১ বা তদূর্ধ্ব বয়সের পুরুষের সাথে বাল্যবিবাহ বলে গণ্য হবে না’- বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৪ এর খসড়ায় এমন বিশেষ বিধান বহাল রাখতে মতামত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের এমন মতামতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।

গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিসভায় ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৪’ এর খসড়া অনুমোদিত হয়। একই সঙ্গে ছেলেদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ২১ থেকে ১৮ এবং মেয়েদের ১৮ থেকে ১৬ করা যায় কিনা, তা পর্যালোচনা করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে আইন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

আইন ও সালিশ কেন্দ্র মনে করে, ‘বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন ২০১৪ এর বিশেষ বিধানে উল্লেখিত বিয়ের বয়স প্রচলিত জাতীয় ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আইনসমূহের সাথে সাংঘর্ষিক এবং দেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে অনুযায়ী, বৈবাহিক দায়িত্ব পালনে কন্যাশিশুর সক্ষমতার সঙ্গেও অসঙ্গতিপূর্ণ।’

‘আইন ও সালিশ কেন্দ্র বিভিন্ন সময়ে বিয়ের ক্ষেত্রে মেয়েদের বয়স ১৬-তে কমিয়ে আনার ফলে বাল্যবিবাহের হার বৃদ্ধির ঝুঁকি এবং নারীদের বিভিন্ন স্বাস্থ্যঝুঁকি, শিক্ষাপ্রাপ্তি ও স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগের ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরির আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেছে এবং সরকারের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়ে এসেছে।’

বিবৃতিতে আসক বলে, ‘আমরা মনে করি, ১৬ বছর বয়সে বিয়ের বিশেষ বিধানের নেতিবাচক ব্যবহারের ঝুঁকি প্রবল এবং এমন অবস্থায় নারীরা কোনোভাবেই পুরুষনির্ভর অধঃস্তন অবস্থার বাইরে এসে নিজেদের জীবনের নিয়ন্ত্রণ নিজে নেওয়ার মতো অবস্থান তৈরি করতে পারবে না।’

‘আমরা এ ধরনের অসঙ্গতিপূর্ণ ও সাংঘর্ষিক আইন প্রণয়ন থেকে বিরত থাকতে সরকারের দৃশ্যমান ও কার্যকরী উদ্যোগের জোর দাবি জানাচ্ছি।’
নভেম্বর ২৯, ২০১৫

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.