সংবাদ শিরোনামসব সংবাদ

আমিরাতে নিয়মিত কর্মী পাঠাতে সময় লাগবে

5সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) শ্রমিক নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়োগপ্রক্রিয়া পুনর্বিন্যাসের বিষয়ে এখনো কাজ করে যাচ্ছে। এ অবস্থায় দেশটিতে ‘নিয়মিত কর্মী’ পাঠাতে বাংলাদেশকে আরো অপেক্ষা করতে হবে। তবে দুই দেশই আশা করছে, শিগগিরই বড় পরিসরে দক্ষ কর্মী আমিরাতে যেতে পারবে। গতকাল সোমবার ঢাকার গুলশানে ইউএই দূতাবাসের কনস্যুলার শাখার উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে (কর্মী পাঠাতে) কাজ করছি। আমিরাতের ভিসা দেওয়া পুরোপুরি বন্ধ হয়নি।’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, আধুনিক কনস্যুলার শাখা চালুর ফলে বাংলাদেশ থেকে ইউএইতে বড় পরিসরে কর্মী পাঠানোর বিষয়ে আশার সঞ্চার হয়েছে। এমন কনস্যুলার শাখা দক্ষিণ এশিয়ার আর কোনো দেশে নেই।

এমনকি আমিরাতের বাইরে এটি চতুর্থ কেন্দ্র। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই কনস্যুলার শাখা বাংলাদেশিদের ভিসা আবেদন যাচাই-বাছাইয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে। ইউএইতে যাওয়ার পর বাংলাদেশিরা বিমানবন্দরে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা না করে ই-গেটের মাধ্যমে নির্বিঘ্নে দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবে।  দুবাইয়ে অনুষ্ঠেয় ‘ওয়ার্ল্ড এক্সপো-২০২০’কে ঘিরে সৃষ্ট সুযোগ বাংলাদেশ কিভাবে কাজে লাগাতে পারে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এমন সুযোগ (অনেক কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে) সব সময় আসে না। দুবাই এক্সপোকে বিবেচনায় রেখে সব কিছু করা হচ্ছে।’ এদিকে ইউএইর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট আন্ডার সেক্রেটারি আহমেদ আহলান সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়ার বিষয়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা ইউএইর নেই। আমিরাতে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য নতুন একটি ব্যবস্থা চালু হয়েছে। কম্পানিগুলোতে নিয়োগপ্রক্রিয়া পুনর্বিন্যাস কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। এর আগে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ও ঢাকায় ইউএই রাষ্ট্রদূত ড. সাঈদ বিন হাজার আল শেহি গুলশানে কনস্যুলার শাখার উদ্বোধন করেন।

আনুষ্ঠানিক বক্তব্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই কনস্যুলার শাখা আমিরাতে বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থান ভিসা আবারও চালু করবে বলে বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে। আশা করি, এর মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে আরো বেশিসংখ্যক চিকিত্সক, প্রকৌশলী, নার্স, তথ্যপ্রযুক্তি পেশাজীবী, হিসাবরক্ষকসহ অন্যান্য দক্ষ ও আধাদক্ষ কর্মী নিয়োগপ্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হবে। ইউএই বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার। এক কোটিরও কম জনসংখ্যার দেশটিতে কাজ করছে ৮ থেকে ১০ লাখ বাংলাদেশি। ইউএই বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থান ভিসা দিচ্ছে না বলে বিভিন্ন মহল সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অভিযোগ তুললেও উভয় দেশের সরকারই তা নাকচ করে আসছে। তবে ইউএই বাংলাদেশ থেকে আগে নিয়মিত শ্রমিক নিলেও ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর থেকেই তা অনেক কমে গেছে।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.