আমারে না হয় না জানো
ঢাকা জার্নাল: শুধু বইমেলায় নয়, সারা বছরই নতুন বই পৌঁছে যাক পাঠকের হাতে। একুশের বইমেলা আসলে বই নিয়ে যতো আয়োজন চলে, মেলা ফুরোলেই যেনো তা হারিয়ে যায়। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে লেখক ফারজানা মিতু পাঠকের জন্য সারা বছরই বই বের করছেন। সম্প্রতি তার নতুন বই ‘আমারে না হয় নাই জানো’ বের হচ্ছে।
বইমেলার আগেই আরোএকটিটি বই বের হবে তার। পাশাপাশি আয়োজনের কমতি নেই বইমেলার জন্যও। প্রেমের কাহিনী নিয়ে আরো ছয় থেকে সাতটি বই বের হবে এবারের বই মেলায় (২০১৭)। ২০১৬ সালের বইমেলায় এবং বইমেলার পরে অনেক গুণীজনদের হাতে ফারজানা মিতুর বই পৌঁছেছে। আর প্রশংসাও কুড়িয়েছেন এই লেখক। এমনকি বইমেলায় প্রচুর সংখ্যক বই বিক্রি হয়েছে, যা নতুন লেখক হিসেবে প্রসংশার দাবী রাখে।
ফারজানা মিতু জানান, এবার বইমেলায় প্রেমের উপন্যাস ছাড়াও একটা ভৌতিক উপন্যাস আসবে। আরও একটি বই থাকবে বাস্তব ধর্মী ঘটনা ও সমাজ ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে।
এই সময় দিব্য প্রকাশ ‘আমারে না হয় নাই জানো’ উপন্যাসটি প্রকাশ করছে । বইটির প্রচ্ছদ করেছে ধ্রুব এষ।
উপন্যাসের কাহিনী গড়ে উঠছে কবিতা নামের শান্ত, চুপচাপ ও ঘুম কাতুরে একটি মেয়েকে নিয়ে। যে মেয়েটির জগৎ মানেই বাসা এবং বিশ্ববিদ্যালয়। বাবা-মার পছন্দে বিয়েও ঠিক হয়ে যায় একদিন। আর ঠিক তখনই ওর সামনে এসে কিছু কথা বলতে চায় কাব্য। কবিতার শোনার সময় হয় না তার। বাস্তবতা ওকে টেনে নিয়ে যায় দূরে।
আর সেই দূরত্ব একদিন বড় বেশি কঠিন হয়ে দেখা দেয়, যখন বার বার কবিতার জানতে ইচ্ছে করে কি বলতে চেয়েছিলো কাব্য। কবিতা কি কখনো জানতে পারবে সেই না শোনা কথাটি। জানতে বড় উচ্ছে করে তার। নাকি ওর সামনে এসে বার বার দাঁড়াবে অনিন্দ্য নামের মানুষটি। কাব্য আর অনিন্দ্য কার হাত ধরবে কবিতা?
বাস্তব এসে দখল করে নেয় কবিতার কল্পনার জীবন? কেউ কি সত্যিটা কখনো জনতে পারে আগে? পারেনি কবিতাও। জমা হতে থাকে জীবন বাস্তবতার নীল রঙে রাঙানো কিছু দীর্ঘশ্বাস।
হুমায়ূনের পাঠক প্রিয়তায় ফারজানা মিতু!
ঢাকা জার্নাল, আগস্ট ১৭, ২০১৬।